গিয়েছে সব। ছবি: সামসুল হুদা।
টানা বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। একে তো মাটির বাড়ি-ঘর ভাঙছে। অন্য দিকে, জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। তলিয়ে গিয়েছে ধানজমি। সমস্যায় পড়েছেন ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
মঙ্গলবার সকালে দাঁড়িয়া গ্রামে জাকির মালি, জাফর মালি ও রহিম মালির মাটির ঘর ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন জখম হন। ইতিমধ্যে ক্যানিং মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কিছু বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘বিডিওদের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রিপল পাঠানো হয়েছে।’’ জেলার কৃষি দফতরের জনসংযোগ আধিকারিক প্রতুল দাস জানান, বৃষ্টির জলে বেশ কিছু জমির ফসল জলের তলায় ডুবে গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সব জায়গা থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টিতে গোসাবার লাহিড়িপুর ও কৈলাসখালি এলাকায় স্লুইস গেট অকেজো হয়ে পড়ায় জল বেরোতে না পেরে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গোসাবার বালি ১, ২, কুমিরমারি এলাকায় নদী বাঁধে ধস নেমেছে। গোসাবার সেচ দফতরের এসডিও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। কোথাও নদী বাঁধে বড় ধরনের সমস্যা না থাকলেও কিছু জায়গায় অসুবিধা আছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে।’’ বৃষ্টির জন্য কাজের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জীবনতলার মঠেরদিঘি এলাকার এক চাষি ইউনুস মোল্লা বলেন, ‘‘প্রায় দু’বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। বৃষ্টিতে পুরো জমি জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। যা পরিস্থিতি, জল বের করার কোনও রাস্তাই নেই। মনে হচ্ছে, পুরো চাষটাই মাঠে মারা যাবে।’’ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার জানান, জীবনতলার আঠারোবাঁকি, মঠেরদিঘি, কালীকাতলা প্রভৃতি অঞ্চলের প্রায় ৪-৫ হাজার হেক্টর জমির ধান, সব্জি তলিয়ে গিয়েছে। অনেকেরই চাষের ক্ষতি হয়েছে বলে মানছেন তিনি।