গোসাবায় বাড়ছে করোনার প্রকোপ, চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর
coronavirus

জল পেরিয়ে গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা

ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গোসাবার প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা 

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৬:৪২
Share:

গোসাবার দ্বীপে চলছে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গোটা গোসাবা ব্লকের ন’টি দ্বীপই জলমগ্ন। বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ইতিমধ্যেই জলবাহিত নানা অসুখ দেখা দিয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি জলবন্দি হয়ে পড়ার কারণে বহু প্রসূতির চিকিৎসায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে, দ্বীপাঞ্চলে করোনাও থাবা বসাতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে জল কাদা পেরিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইন্দ্রনীল বর্গীর নেতৃত্বে চলছে এক দ্বীপ থেকে আর এক দ্বীপে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ।

Advertisement

ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গোসাবার প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রাণশিবিরে গিয়েও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্গতদের চিকিৎসা করছেন। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। পাশাপাশি, যে সমস্ত এলাকায় মানুষজন এখনও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন, সেখানে গিয়ে ও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। রোগী দেখার পাশাপাশি তাদেরকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এলাকায় জল জমে যাওয়ার কারণে মানুষজন পেটের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। তা ছাড়া গত কয়েকদিনে গোসাবার কুমিরমারি, ছোট মোল্লাখালি এলাকায় করোনা-সংক্রমণও বেড়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইন্দ্রনীল বর্গী বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দুর্গতদের পক্ষে ব্লক হাসপাতাল বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই সময় প্রসূতিরা যাতে অপুষ্টিতে না ভোগেন, সে দিকে লক্ষ্য রেখে তাঁদের হাতে পুষ্টিকর খাবারও তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর, যাঁদের মধ্যে করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। সংক্রমণ ধরা পড়লে সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement