রেশনের মাল বেহাত, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় পঞ্চায়েতের উত্তর গরানবোস এলাকায় এই ঘটনায় কুতুবুদ্দিন শেখ নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০৪:০৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

রেশন থেকে চাল, গম তুলে দোকানের বাইরে আসতেই তা ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন এক তৃণমূল নেতা, এমনই অভিযোগ উঠেছে বাসন্তীর গ্রামে।

Advertisement

বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় পঞ্চায়েতের উত্তর গরানবোস এলাকায় এই ঘটনায় কুতুবুদ্দিন শেখ নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও কুতুবুদ্দিনের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রেশনের মাল ওই তৃণমূল নেতাকে বিক্রি করা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

রেশন ডিলার নুরুল ইসলাম সর্দার বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যার রেশন কার্ড তিনিই রেশন থেকে মাল তুলবেন। কুতুবউদ্দিন এলাকার অনেক মানুষের কার্ড নিয়ে এসে এক রকম জোর করেই চাল, গমের বস্তা নিয়ে চলে যান। কিছু বলতে গেলে মারধর করেন। ওঁর জন্য সুষ্ঠ ভাবে রেশনের মাল বণ্টন করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে আমি থানায় জানিয়েছি।’’

ভয় দেখিয়ে এলাকার প্রায় ৭০০ জন গরিব মানুষের রেশন কার্ড নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন, অভিযোগ এমনটাও। কুতুবউদ্দিন নিজে সেই সব কার্ড দেখিয়ে রেশন ডিলারের গোডাউনে গিয়ে সেরা চাল, গম বাছাই করে নিয়ে আসেন বলেও অভিযোগ। সাধারণ গ্রাহকেরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের হুমকি, এমনকী, মারধর করা হয় বলেও জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন।

স্থানীয় এক রেশন গ্রাহক বলেন, ‘‘আমরা রেশনের মাল তোলার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি। ওই তৃণমূল নেতা কোনও লাইন না দিয়ে গাড়ি নিয়ে এসে ডিলারের ঘর থেকে এক সঙ্গে ৭০০ কার্ডের মাল তুলে নিয়ে চলে যান।’’

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সরকার আমাদের ভর্তুকিতে চাল, গম দেয়। কিন্তু সে সব বাড়ি নিয়ে যেতে পারি না। কুতুবউদ্দিনকে সব বিক্রি করে দিতে হয়।’’ অভিযোগ, ওই চাল, গম বেশি দামে বাইরে বিক্রি করেন কুতুবুদ্দিন।

কুতুবউদ্দিন অবশ্য বলেন, "আমার আত্মীয়-স্বজন, পড়শিরা রেশন থেকে ঠিকমতো মাল তুলতে পারেন না বলে আমার কাছে তাঁদের কার্ড দিয়ে রেখেছেন। আমি তাঁদের নাম লিখে তাঁদের কার্ডের মাল তুলে ওঁদেরই বণ্টন করে দিই।’’

তাঁর দাবি, অনেক গরিব মানুষ আছেন, যাঁরা রেশনের চাল, গম বিক্রি করে অন্য জিনিসপত্র কেনেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা মালপত্র আমাকে বিক্রি করে দেন। আমি নায্য দাম দিই।’’ মারধর, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মানেননি কুতুব।ঘটনার কথা কানে উঠেছে বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টু গাজির। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তবে কুতুবুদ্দিন তাঁদের দলের কোনও পদাধিকারী নন বলেও দাবি মন্টুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন