ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুগল

ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরী ও এক তরুণের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় বহড়ু ও দক্ষিণ বারাসত স্টেশনের মাঝে লালপুলের কাছে। সকালের দিকে ডাউন শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর ট্রেনে কাটা পড়েন দু’জনে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৩
Share:

মৌসুমী মোদক ও তাপস হালদার।

ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরী ও এক তরুণের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় বহড়ু ও দক্ষিণ বারাসত স্টেশনের মাঝে লালপুলের কাছে। সকালের দিকে ডাউন শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর ট্রেনে কাটা পড়েন দু’জনে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম তাপস হালদার (২০) ও মৌসুমী মোদক(১৬)। তাপস দক্ষিণ বারাসত কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। দক্ষিণ বারাসত গার্লস স্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল মৌসুমীর।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে কোনও ভুল বোঝাবুঝি থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু’জন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার গোঁড়েরহাট হালদারপাড়ার বাসিন্দা তাপস পুলিশে চাকরির চেষ্টা করছিলেন। প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলেজ মাঠে দৌড়তে যেতেন। এ দিনও সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন।

মৌসুমীও সকালে বাড়ি থেকে পড়তে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল। দক্ষিণ বারাসত মোড়ের কাছে দু’জনের দেখা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয় দুই বাড়িতের। দুই পরিবারের কেউই এই সম্পর্কের কথা জানতেন না বলে দাবি করেছেন।

দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে তাপসই বড়। বাবা গৌতমবাবু রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। অভাবের সংসারে অনেক কষ্টে ছেলেকে পড়াশোনা শেখাচ্ছিলেন। চোখের জল মুছে মা চম্পাদেবী কোনও মতে জানালেন, ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি তাঁরা। আর যদি প্রেম থেকেই থাকবে, তা হলেও কী এমন ঘটল, আত্মহত্যা করতে হবে— ভেবে পাচ্ছেন না কেউ।

বেলিয়াডাঙায় মৌসমীর বাড়ি। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় সে। বাবা সঞ্জয়বাবু বারুইপুরে সোনার দোকানের কারিগর। পরিবারের লোকজন জানালেন, পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাক মৌসুমী। সেই মেয়ে এমন কাণ্ড ঘটাল কেন, ভেবে কুল পাচ্ছে না পরিবার। ছোট ভাই ছিল তার প্রাণ। এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘এমন করার আগে একটি বার ভাইয়ের মুখটাও মনে পড়ল না?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন