—প্রতীকী ছবি।
ডায়মন্ড হারবার থেকে ফেরার পথে চলন্ত ট্রেনে মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক দম্পতি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর স্টেশন এলাকায়। তবে ওই ঘটনায় বারুইপুর জিআরপি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। বারুইপুর জিআরপি-তে ওই দম্পতি মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে বারুইপুর জিআরপি সূত্রের খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অমিত মণ্ডল ও মল্লিকা মণ্ডল নামে সোনারপুর থানার বাসিন্দা এক দম্পতি এক বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন। বারুইপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনটি আসতেই একদল মত্ত যুবকের সঙ্গে অমিতবাবুর বচসা হয়। অভিযোগ, তার পরেই অমিতবাবুকে ট্রেন থেকে নামিয়ে মারধর করে তারা। পুলিশকে তাঁরা জানান, অমিতবাবুর মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এর পরে তাঁকে স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। পরে অমিতবাবুর স্ত্রী মল্লিকার কোলে থাকা শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। মল্লিকা কোনও ভাবে বারুইপুর ডিআরপি অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ছুটে যান। তার পরেই দুষ্কৃতীরা অমিতবাবুকে ছেড়ে পালায়। পুলিশ অমিতবাবুকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর মাথায় ন’টি সেলাই পড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। ঘটনার পরে মল্লিকা বলেন, ‘‘জিআরপি থানার কাছেও এসেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ একটু আড়াল হতেই আমার স্বামীকে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়েছে।’’ অমিতবাবু বলেন, ‘‘আমি পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। নানা কাজে সব জায়গায় যেতে হয়। ফের যদি ওরা আমার উপরে হামলা করে, সেই আশঙ্কায় লিখিত অভিযোগ করছি না।’’ বারুইপুর জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে ওই দম্পত্তিকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা জন্যেও অনুরোধ করা হয়েছে।