দলীয় কার্যালয় খুলতে যাওয়ার পথে সিপিএমের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিঙের জীবনতলা বাজারে। পুলিশ জানিয়েছে, সাহাবুদ্দিন ইসলাম নামে ওই ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
ক্যানিং ২ ব্লকের বিডিও তথা অভিজিৎ সামন্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের লোকাল কমিটির ওই কার্যালয়টি প্রায় পাঁচ বছর ধরে বন্ধ ছিল। শুক্রবার ওই কার্যালয় খোলা হয়। রবিবার সকালে সাহাবুদ্দিন ওই কার্যালয় খুলতে যাওয়ার সময় পাশের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মোখতার শেখ তার উপর চড়াও হয়। শুরু হয় বচসা। এরপরেই তাঁকে মারধর করে মোখতার। সাহাবুদ্দিনকে বাঁচাতে আসেন সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন দেয়াশি ও বিজয় মণ্ডল। তখন মোখতার-সহ তৃণমূলের অন্য কর্মীরা তাঁদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর এলাকায় আসেন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সওকত মোল্লা। তিনি এসে সবাইকে শান্ত করেন। সিপিএমের নেতা মনোরঞ্জন দেয়াশিকে গাড়িতে তুলে পাঠিয়ে দেন। ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আজিজার রহমান মোল্লা বলেন, “এই এলাকায় আইনি শাসন বলে কিছু নেই। আমাদের পার্টি অফিসটি দীর্ঘদিন ধরে ওরা বন্ধ করে রেখেছিল। আমরা সেই পার্টি অফিস যাতে আর কোনওদিনও না খুলতে পারি তার জন্যই আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে।” এই অভিযোগ অস্বীকার করে সওকত মোল্লা বলেন, “সাহাবুদ্দিন আমাদের দলের বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছিল। এ নিয়ে মোখতার প্রতিবাদ করেন। তা থেকেই ঝামেলা বাধে।”