কাকদ্বীপে পঞ্চায়েত হাতছাড়া সিপিএমের

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কারের পরে কাকদ্বীপ মহকুমায় বিরোধীদের দখলে থাকা বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। কেননা, সিপিএম সদস্যেরা দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৬ ০২:০৬
Share:

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কারের পরে কাকদ্বীপ মহকুমায় বিরোধীদের দখলে থাকা বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। কেননা, সিপিএম সদস্যেরা দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ওই সব পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। দিন কয়েক আগেই সাগরের রামকরচর পঞ্চায়েত সিপিএমের থেকে তৃণমূলের হাতে এসেছে। বৃহস্পতিবার ফের একটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল সিপিএমের। আরও দু’টি পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল।

Advertisement

সিপিএমের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর থেকে নানা ভাবে পঞ্চায়েতে তাদের নির্বাচিত সদস্যদের কোথাও পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, কোথাও আরও বড় পদের লোভ দেখিয়ে তাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। কাকদ্বীপের তৃণমূল নেতা বাদল মাইতির দাবি, ‘‘আমাদের দল এলাকার উন্নয়নে নজর দিয়েছে। সিপিএমের সদস্যেরা আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে ভরসা করে আসছেন। আমরা কোনও ভয় বা লোভ দেখাইনি।’’

রামগোপালপুর পঞ্চায়েতটি প্রথম থেকেই সিপিএমের দখলে ছিল। ১৩টি আসনের ওই পঞ্চায়েতে সিপিএমের দখলে ছিল ৮টি এবং তৃণমূলের ৫টি। বিধানসভা নির্বাচনের পরে তিন সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে, তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। মাসখানেক আগে তারা প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনে। অনাস্থা গৃহীত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিতে পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান হলেন তৃণমূলের রূপশ্রী মাইতি। কাকদ্বীপের বিডিও সর্বোদয় সাহা জানান, ওই পঞ্চায়েতে প্রধানের নাম সকলের সম্মতিতে স্থির হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি।

Advertisement

এ দিনই আবার সিপিএম পরিচালিত মৌসুনি পঞ্চায়েত এবং রবীন্দ্র পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। মৌসুনিতে সিপিএমের ৮ এবং তৃণমূলের সাত জন সদস্য ছিলেন। এক সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় রাজ্যের শাসক দল। একই ঘটনা রবীন্দ্র পঞ্চায়েতেও। এখানে সিপিএমের ১১ জন এবং তৃণমূলের ৬ জন সদস্য ছিলেন। ৭ সিপিএম সদস্য দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। সপ্তাহখানেক আগে প্রধানের বিরুদ্ধে তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনে।

সচেতনতা শিবির। শিশু সুরক্ষা নিয়ে সচতনতা শিবির করল সাগর উপকুল থানা। বৃহস্পতিবারের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্যা কবিতা বেরা, জেলা আইনি সহায়তা পরিষেবা সংস্থার তরফে বিচারক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ প্রমুখ। শিশু শ্রমিকের সমস্যা ছাড়াও অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কুফল নিয়েও আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে খুদেদের জন্য খেলার ব্যবস্থা ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement