সাঁকো পাকা হবে কবে, উঠছে প্রশ্ন

করঞ্জলি বাসমোড় থেকে ঢোলাহাটের বেলুনি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তা বছর দেড়েক আগে পাকা হয়। ওই রাস্তার পদ্মপুকুর গ্রামের মুখে প্রায় ১০০ ফুট চওড়া ট্যাংরার খাল রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলপি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০৩:১২
Share:

নড়বড়ে: এই সাঁকো পাকা করার দাবি উঠেছে। ছবি: দিলীপ নস্কর

সাঁকোর উপরে কাঠের পাটাতন কবেই ভেঙে গিয়েছে। ফাঁকা অংশে বাঁশ দিয়ে তাপ্পি মেরে কোনও মতে পারাপার চলছে। সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বহুবার সেতু ভেঙে জখম হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। অনেক মানুষের একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। কুলপির করঞ্জলি পঞ্চায়েতে পদ্মপুকুর গ্রামের ওই বেহাল সাঁকোটি পাকা করার দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি।

Advertisement

করঞ্জলি বাসমোড় থেকে ঢোলাহাটের বেলুনি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তা বছর দেড়েক আগে পাকা হয়। ওই রাস্তার পদ্মপুকুর গ্রামের মুখে প্রায় ১০০ ফুট চওড়া ট্যাংরার খাল রয়েছে। বহু বছর ধরে ওই খালের উপরে কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার চলে। বছর দু’য়েক ধরে পুরনো ওই সাঁকোর পাটাতন উঠে গিয়েছে। নীচের শালবল্লার খুঁটি বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে।

সাঁকো নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে, সে কথা আঁচ করে কয়েক মাস আগে সাঁকো উদ্যেোগ করেন এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের সদস্য বর্ণালী চক্রবর্তী। তিনি নিজের দায়িত্বে বাসিন্দাদের কাছে থেকে বাঁশ চেয়ে তাঁদেরই সহযোগিতায় তাপ্পি মেরে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। বর্ণালীদেবী বলেন, ‘‘কাঠের সেতুটি পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি জন প্রতিনিধি বলেই এলাকার মানুষ যা ইচ্ছে তাই আমাকে শোনাচ্ছেন। সেতুটির কংক্রিটের সেতু করার জন্য সব স্তরে দীর্ঘ দিন ধরে আবেদন করেছি। শেষে কাঠের সেতু বানানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সাঁকোর নীচের খুঁটি ভাঙে থাকায় পারাপারের সময়ে টলমল করে। এই বুঝি সলিল সমাধি হল, ভয়ে ভয়ে থাকেন সকলে। কাঠের সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে লাভ নেই। কংক্রিটের সেতু করা হোক। অমর ঢালি, শেখর কর্মকারদের বক্তব্য, ‘‘ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে আতঙ্কে থাকেন সকলে। এই বুঝি সাঁকো ভেঙে বিপত্তি ঘটল। যত দিন না বড়সড় বিপদ ঘটছে, তত দিন কি প্রশাসনের টনক নড়বে না?’’

কুলপির বিডিও সঞ্জীব সেন সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘গত অক্টোবর মাস থেকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিককে একাধিক চিঠি করেছি। বিপজ্জনক সাঁকো নিয়ে জনরোষ দানা বাঁধতে পারে, সে কথাও জানিয়েছিলাম। ওঁরা কাঠের সাঁকো করার তোড়জোড় শুরু করেছেন।’’ সেচ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কাঠের সেতু ছিল। তা আবার কাঠের করে দেওয়া হচ্ছে। কংক্রিটের সেতু করার বিষয়ে তাঁদের কিছু করার নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন