পুকুর থেকে উদ্ধার ছাত্রের দেহ, উত্তেজনা মহেন্দ্রনগরে

ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার মহেন্দ্রনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাড়ি ঘোলা থানার মহেন্দ্রনগরের নাটাগড়ে। স্থানীয় একটি পুকুর থেকে মঙ্গলবার সাতসকালে উদ্ধার হয় বছর তেইশের সন্নয় চট্টোপাধ্যায়ের দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৪:৫৪
Share:

সন্নয় চট্টোপাধ্যায়।—নিজস্ব ছবি।

ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার মহেন্দ্রনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাড়ি ঘোলা থানার মহেন্দ্রনগরের নাটাগড়ে। স্থানীয় একটি পুকুর থেকে মঙ্গলবার সাতসকালে উদ্ধার হয় বছর তেইশের সন্নয় চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। পরিজনদের দাবি, তাঁর গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর পর সন্নয়কে খুনের অভিযোগ তুলে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। বাড়িতে আগুন লাগানোরও চেষ্টা করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিস ‌পৌঁছে মৃতের বন্ধু সৌম দাস ও তাঁর বাবা-মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আপাতত শান্ত পরিস্থিতি হলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

সোমবার সকালে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বেলঘড়িয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সন্নয়। কিন্তু, সন্ধ্যা পেরোলেও সে বা়ড়ি ফিরে না আসায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘোলা থালায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন।

Advertisement

এ দিন ভোরে মহেন্দ্রনগরের শীতলাতলা এলাকার একটি পুকুরে সন্নয়ের সাইকেলটি আধডোবা অবস্থায় ভাসতে দেখা যায়। তাঁর চটিও জলে ভাসছিল। খবর পেয়ে পুলিস এসে সন্নয়ের দেহ উদ্ধার করে। সন্নয় সাঁতার জানতেন না বলে পবিবারের দাবি। গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় বাড়ির লোকের অনুমান, তাঁকে খুন করেই পুকুর ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর খুনের পিছনে সন্নয়ের বন্ধু সৌম দাসের পরিবারের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে সন্নয়ের। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন