জ্বরে মৃত্যু বাড়ছে, ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বসিরহাটে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বসিরহাটের মাটিয়া এবং বড়গোবরা গ্রামে জ্বরে ভুগে এক বালক-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০২
Share:

জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বসিরহাটে।

Advertisement

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বসিরহাটের মাটিয়া এবং বড়গোবরা গ্রামে জ্বরে ভুগে এক বালক-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন বহু। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এলাকার বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারে জ্বরে আক্রান্ত কয়েক জনের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি নয়, জ্বরের সঙ্গে অন্য উপসর্গ থাকার কারণেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে যাঁরা জ্বরে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের শরীরে এখনও ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি বলেই দাবি তাঁদের।

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে জেলায় এখনও ডেঙ্গির প্রকোপ কাটেনি। তবে নতুন করে যাঁরা জ্বরে মারা গিয়েছেন অথবা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের রক্তে এখনও ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি।’’

Advertisement

মহকুমা প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বড়গোবরা গ্রামের তিন জন এবং মাটিয়া গ্রামের এক জনের জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। বসিরহাট ২ ব্লকের বেগমপুর–বিবিপুর পঞ্চায়েতের বড়গোবরা এবং শ্রীনগর-মাটিয়া পঞ্চায়েতের সাংবেড়িয়া, মাটিয়া, শ্রীনগর উত্তর-সহ কয়েকটি গ্রামে প্রতি দিনই কয়েক জন করে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুরসভা, ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সচেতনতা তৈরির জন্য মাইক প্রচার, এলাকা সাফাই এবং লিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে চলছে মশারি বিলি। স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে যাঁরা আসছেন তাঁদের কয়েকজনকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রামগুলিতে সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিক–সহ চিকিৎসক দল গিয়েছে। এলাকা ঘুরে দেখে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যাঁরা অসুস্থ হয়েছেন তাঁদের জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা, বমির মতো অন্য কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। আক্রান্তদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে প্রতি দিন বহু মানুষ আসছেন। এছাড়া বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়া হাসপাতাল, স্বরূপনগরের শাঁড়াপুল, সন্দেশখালির খুলনা, বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর হাসপাতাল, হিঙ্গলগঞ্জের ন’নম্বর সান্ডেলের বিল হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে। এছাড়াও গিয়েছেন বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা রনি, শ্রীনগর-মাটিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রেমেন্দ্রনাথ মল্লিক-সহ অনেকে। তাঁরা জানান, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য জেলা এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন