হাসপাতাল চত্বরেই জমে জল, আবর্জনা
Basirhat Dengue

সাত দিনে বসিরহাটে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৯ 

প্রশাসন সূত্রের খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় গত সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৯ জন। গত এপ্রিল মাস থেকে ধরলে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৭
Share:

হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা (বাঁদিকে)। বসিরহাট হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তদের মশারির মধ্যে রাখা হয়েছে। ছবি: নির্মল বসু।

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বসিরহাট জুড়ে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বহু রোগী। জ্বর নিয়েও রোজ হাসপাতালে আসছেন অনেকে। কিন্তু অভিযোগ, নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় সেই হাসপাতালই হয়ে উঠেছে মশার আতুঁড়ঘর! হাসপাতাল চত্বরে একাধিক জায়গায় জমে রয়েছে জল। আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিকাশি নালার পথ। জমা জলে জম্মাচ্ছে মশা। আশপাশের ঝোপঝাড়ও নিয়মিত সাফ হয় না বলে অভিযোগ।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় গত সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৯ জন। গত এপ্রিল মাস থেকে ধরলে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে জেলা হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন ৬৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। পাশাপাশি হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোজ জ্বরে আক্রান্ত বহু রোগী চিকিৎসককে দেখাতে আসছেন। ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রশাসনের তরফে প্রচার চলছে এলাকায়। এলাকা সাফসুতরো রাখা, জল জমতে না দেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ,
হাসপাতাল চত্বর পরিস্কার রাখারই তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। উদাসীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এমনকি পুরসভাও।

দ্রুত হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসাধীন রোগী-সহ সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জয়ন্ত সাহা বলেন, “হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি হলেও বাইরের পরিস্থিতিটা উদ্বেগজনক। সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা।” আর এক রোগী সুবল বিশ্বাসের কথায়, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকা আবর্জনা দ্রুত সাফ করা হোক। না হলে ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা যাবে না।”

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল রায় বলেন, “যা পরিস্থিতি, ডেঙ্গির চিকিৎসা করাতে এসে রোগীর আত্মীয়েরাই মশার কামড়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। প্রশাসন এ দিকে একটু নজর দিক।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে রোগী কল্যাণ
সমিতি কী করছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ রবিউল ইসলাম গাজি জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে জমা জল, আবর্জনা নিয়ে মন্তব্য করেননি তিনি। হাসপাতালের সুপার রঞ্জন রায়ও এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

বসিরহাটের উপ-পুরপ্রধান সুবীর সরকার বলেন, “আমরা বিষয়টা শুনেছি। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন