ক্ষতিপূরণ না দিলে বন্ধ হবে বেতন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সোনারপুর থানার গোপালপুরের বাসিন্দা ভবেশ মণ্ডল ২০১৫ সালে সাপের কামড়ে মারা যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০১:২২
Share:

সোনারপুর থানার গোপালপুরের বাসিন্দা ভবেশ মণ্ডল ২০১৫ সালে সাপের কামড়ে মারা যান। প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণের দু’ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না হলে জেলা শাসক ও বিডিও-র বেতন বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও বিডিও-র উদ্দেশ্যে ওই হুঁশিয়ারি দেন।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সোনারপুর থানার গোপালপুরের বাসিন্দা ভবেশ মণ্ডল ২০১৫ সালে সাপের কামড়ে মারা যান। পরের বছর ২০১৬ সালে ভবেশবাবুর স্ত্রী সুন্দরীদেবী জানতে পারেন, উপার্জনক্ষম কোনও ব্যক্তি সাপের কামড়ে মারা গেলে রাজ্য সরকার তাঁর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। এর পরে ২০১৭ সালে ওই মহিলা জেলাশাসকের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জানান। আবেদনের সঙ্গে ময়না-তদন্তের রিপোর্টও জমা দেন। কিন্তু আবেদনের জবাব না পেয়ে তিনি ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।

সুন্দরীদেবীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী জানান, বিচারপতি বসাক গত বছর জানুয়ারিতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, ওই মহিলা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য হলে এক মাসের মধ্যে তা দিয়ে দিতে। জেলাশাসক সোনারপুরের বিডিও-কে অনুসন্ধান করে মহিলার ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।

Advertisement

বিডিও সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসককে জানিয়ে দেন, মহিলা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। আইনজীবী ইন্দ্রজিতবাবু এ দিন জানান, এর পরেও ক্ষতিপূরণ না মেলায় ফের হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁর মক্কেল।

শুক্রবার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি আদালতের কাছে এক দিন সময় চান। বিচারপতি বসাক তাঁকে জানিয়ে দেন, এক দিনের বদলে তিনি সাত দিন সময় দিচ্ছেন। তার মধ্যে ওই মহিলাকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে তিনি জেলাশাসক ও বিডিও-র বেতন বন্ধের নির্দেশ দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement