রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য পড়ে থাকে বলেই ঘটছে দুর্ঘটনা— এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বার দুর্ঘটনা এড়াতে এবং রাস্তা পরিষ্কার রাখতে পদক্ষেপ করল বসিরহাট থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তার পাশে ইট, বালি, পাথর পড়ে থাকলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট মামলা রুজুও করা হবে। এ বিষয়ে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার জেসিবি নিয়ে গিয়ে টাকি রাস্তার পাশে থাকা ইমারতি দ্রব্য বাজেযাপ্ত করে। দু’জনের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে।
বসিরহাটের প্রধান তিনটি রাস্তা হল ইটিন্ডা, টাকি এবং মার্টিন বার্ন রোড। এই সব রাস্তার ধারে দিনের পর দিন ব্যবসায়ীরা ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখে বলে অভিযোগ। এতে রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। একটি গাড়ি গেলে পাশ দিয়ে আরও একটি যেতে পারে না। পথচারীদেরও যাতায়াতে সমস্যা হয়। এই কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে রাস্তার দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। তা-ও এ বার সরাতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
শহর পরিষ্কার রাখতে যত্রতত্র ফেলা আর্বজনাও সরানো হচ্ছে।
বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘রাস্তা পরিষ্কার রাখার জন্য দু’টি আধুনিক গাড়ি আনা হয়েছে। ভ্যাট করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকে রাস্তায় ময়লা ফেলেন। শহরবাসীর সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’
রবিবার সকাল থেকে এলাকায় পুলিশের গাড়ি এবং অটোতে মাইক বেঁধে প্রচার চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাবধান করা হয়েছে রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য না রাখার জন্য। কোনও কিছুর দোকান নিয়ে বসতেও বারণ করা হয়েছে। শহরের বড় রাস্তার ধারে যদি ময়লা ফেলা হয়, তা হলে জরিমানা নেওয়া হবে। এমনকী, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েও শহরবাসীর বক্তব্য, এ ধরনের অভিযান যেন দু’চার দিন করে বন্ধ করে দেওয়া না হয়। এমন অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে বলেও জানালেন অনেকে।