Drinking Water Crisis

পাইপলাইন বসানোর পরেও মিটছে না জলের সমস্যা 

বছর দেড়েক আগে পানীয় জলের পাইপ লাইন বসানো হয়েছিল। এমনকী, সব বাড়িতে ৫০ টাকার বিনিময়ে কল বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জল আসেনি আজও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মথুরাপুর শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৫৬
Share:

ভোগান্তি: জল আসে না এই কলেই। ছবি: দিলীপ নস্কর।

জল সরবরাহের জন্য গ্রামজুড়ে পাইপলাইন ও সব বাড়িতে কল বসানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত জল এল না। ফলে মথুরাপুরের কৃষ্ণরামপুর চকপাড়া বাসিন্দারা সঙ্কটে পড়েছেন। পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের সব দফতরে জল সরবরাহের দাবিতে আবেদন জানিয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মথুরাপুর ১ ব্লকের দক্ষিণ লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণরামপুর চকপাড়া এলাকায় হাজার দু’য়েক মানুষের বসবাস। অঞ্চলের অনেক পরিবার মৎস্যজীবী। ওই পাড়ায় বছর দেড়েক আগে পানীয় জলের পাইপ লাইন বসানো হয়েছিল। এমনকী, সব বাড়িতে ৫০ টাকার বিনিময়ে কল বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জল আসেনি আজও। জলের সমস্যায় জেরবার বাসিন্দারা। গ্রীষ্মকালে পুকুর, খাল, বিলে জল থাকে না, পর্যাপ্ত নলকূপেরও অভাব রয়েছে। ফলে জলের হাহাকার লেগেই থাকে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দেড় বছর আগে পাইপলাইন বসানো হলেও জল সরবরাহ হয়নি। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ছেঁকে রান্না, বাসন মাজার কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে। দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন ভুঁইঞা, তপন রায়দের অভিযোগ, জল সরবরাহের সমস্ত ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও জল মিলছে না। পঞ্চায়েত-প্রশাসনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।

Advertisement

দক্ষিণ লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আঙুরবালা নস্কর বলেন, “ওই পাড়ায় যে জল যায় না, তা আমাকে কেউ জানাননি। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে জল গিয়েছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।” ৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। মিথ্যা বলছেন ওঁরা।”

এ বিষয়ে মথুরাপুর ১ বিডিও তারাশঙ্কর প্রামাণিক বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে বলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন