মণ্ডপ তৈরিতে ব্যস্ত মহিলারা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
মা এলেন ফেসবুকে!
নিখুঁত ফেসবুক পেজ! নাম, ‘জয় মা কালী’। অবশ্যই কালীর ছবি শোভা পাচ্ছে সেখানে। ‘ফেন্ড্রস’ তালিকায় দেখা যাচ্ছে, রামকৃষ্ণ, গণেশ, যিশুখ্রিষ্ট-সহ নানা দেবদেবীর ছবি। বেশ কিছু ‘ফেন্ড্র রিকোয়েস্ট’ জমা হয়েছে। শিব ঠাকুর চ্যাট করছেন মা কালীর সঙ্গে। ডান দিকে দেখা যাচ্ছে, নারায়ণ, শিব, রাম, রামকৃষ্ণ, বিশ্বকর্মা চ্যাটে অনলাইন আছেন।
মণ্ডপটি তৈরি করেছেন বাগদার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত এলাকার বাবুপাড়ার অধিবাসীবৃন্দ। পুজোটি পুরোপুরি মহিলা পরিচালিত। যাঁদের থিম, ফেসবুক।
কেন এমন ভাবলেন?
উদ্যোক্তাদের তরফে সঙ্গীতা দেবনাথ জানান, ফেসবুকের খারাপ দিক সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্যই এই থিম করা হয়েছে। এলাকার এক তরুণী জানালেন, এখনকার ছেলেমেয়েদের সর্বক্ষণ সোসাল মিডিয়ায় চ্যাট করতে দেখা যায়। ফেসবুকে খারাপ প্রভাব মানুষের মধ্যে পড়ছে। আমাদের এলাকাও তার বাইরে নয়। তবু সকলকে সচেতন করার একটা চেষ্টা হল।
অতীতে পুরুষেরাই পুজোটি করতেন। কিছু সমস্যার কারণে স্থানীয় মানুষজন তিন বছর আগে পুজোর আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেন মহিলাদের হাতে। দায়িত্ব পেয়ে তিন বছর ধরে মহিলারা উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন। পুরুষেরাও সহযোগিতা করেন।
কিন্তু প্রতিমার বায়না দেওয়া, মণ্ডপে প্রতিমা আনা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা আদায়— সবই সামলেছেন মহিলারা। শোভা বিশ্বাস, শান্তিলতা রায়, সুনন্দা রায়, ঝর্না বিশ্বাস, আশালতা রায়ের মতো বহু মহিলা চাঁদা সংগ্রহ করেছেন বাড়ি বাড়ি ঘুরে।