কারখানায় ভিড়, উৎপাদনও স্বাভাবিক

কারখানার ‘ভোঁ’ বাজল। দলে দলে শ্রমিকেরা যোগ দিলেন কাজে। যেমন আসেন অন্য দিনগুলিতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের দিন ছবিটা ছিল এমনই স্বাভাবিক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৫
Share:

কারখানার ‘ভোঁ’ বাজল। দলে দলে শ্রমিকেরা যোগ দিলেন কাজে। যেমন আসেন অন্য দিনগুলিতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের দিন ছবিটা ছিল এমনই স্বাভাবিক।

Advertisement

চটকল ও অন্য কারখানা অধ্যুষিত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা মূলত এলাকারই বাসিন্দা। চটকলগুলির ক্ষেত্রে কুলি লাইন থেকে কারখানার দূরত্বও বেশি নয়। ফলে যাতায়াতের সমস্যা ছিল না। উপস্থিতিও ছিল ভাল। কাজ হয়েছে স্বাভাবিকই।

বছর পাঁচ-সাতেক আগেও ব্যারাকপুরের চটকলগুলিতে সিটু বা আইএনটিইউসি’র যে প্রভাব ছিল, এখন আর তা নেই। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন শুধু চটকলেই নয়, অটো, বাস, সরকারি অফিস সব জায়গাতেই জোরদার। ফলে বিরোধী নেতারা যতই ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল-মিটিং করুন না কেন, তার প্রভাব বিশেষ দেখা যায়নি শুক্রবার। ধর্মঘটের সমর্থনে কিছু দিন আগেই টিটাগড়ে যে সভা করেছিল সিপিএম, তাতে জমায়েতও খুব বেশি ছিল না। ধর্মঘটে প্রতি বছর ব্যারাকপুর ও সোদপুরে যে বিরোধী নেতাদের উদ্যোগে পথ অবরোধ হতো, ঘটনাচক্রে তাঁরাও এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

ফলতাএসইজেড-এ হাজিরা স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি আইএনটিটিইউসি-র। জোনের ৫টি সেক্টরে ৬০টি কারখানায় ৮০ শতাংশের উপরে শ্রমিক হাজিরা হয়েছে বলে দাবি করেন জোনের আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা দিলীপ বর্মন। তিন শিফ্‌টেই স্বাভাবিক কাজ হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement