মুদির দোকানে মিলত জাল শংসাপত্র

মুদির দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল বিভিন্ন ভুয়ো শংসাপত্র বিক্রির কারবার। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাইঘাটা থানার পুলিশ ওই দোকানে হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয়েছে দোকানিকে। তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর জাল স্কুল ছাড়ার শংসাপত্র, স্কুলের বদলির শংসাপত্র, জন্মের শংসাপত্র ও নকল মার্কশিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুদির দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল বিভিন্ন ভুয়ো শংসাপত্র বিক্রির কারবার। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাইঘাটা থানার পুলিশ ওই দোকানে হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয়েছে দোকানিকে। তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর জাল স্কুল ছাড়ার শংসাপত্র, স্কুলের বদলির শংসাপত্র, জন্মের শংসাপত্র ও নকল মার্কশিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর স্টেশন-সংলগ্ন এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গুরুবর বাইন। বয়স ৭৬ বছর। তিনি স্থানীয় গাজনা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। বাড়ি শিমুলপুরে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঠাকুরনগরে ‘বাইন ভাণ্ডার’ নামে ওই মুদির দোকানের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে এই কারবার চলছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য কোনও গোপন জায়গায় চক্রটি ওই সব নকল শংসাপত্র তৈরি করে। ‘ডেলিভারি’ হয় গুরুবরের দোকান থেকে। নকল শংসাপত্রের জন্য মোটা টাকা নেওয়া হত। ওই কাজে আরও অনেকে জড়িত বলে অনুমান পুলিশের। দূর-দূরান্ত কাস্টমার ধরে আনার জন্যও লোক ছিল। তাদের মোটা টাকা কমিশন দেওয়া হত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মূলত বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এ দেশে আসা লোকজনই ছিল গুরুবরের কাস্টমার। এখান থেকে মোটা টাকা দিয়ে জাল শংসাপত্র সংগ্রহ করে তারা পরবর্তী সময়ে ওই সব শংসাপত্র দিয়ে এ দেশে ভোটার পরিচয়পত্র বানাত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement