খাকি উর্দির কাঁধে নকল তারা বসানো। মালবাহী ট্রাক বা হেলমেটহীন মোটরবাইক দেখলেই দাঁড় করিয়ে তোলাবাজিটা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিন্তু শেষমেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল নৈহাটির বড়া গ্রামের বাপি ঘোষ। ধরা পড়েছে তার সঙ্গী বাপি চক্রবর্তীও।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর সাঁইত্রিশের বাপি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের পোশাক পরে শুক্রবার রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিল। জগদ্দল থেকে নৈহাটির দিকে যাওয়ার রাধাবল্লভ মোড়ে একটি মোটর বাইককে দাঁড় করায়। সেখান থেকে টাকা আদায়ের সময়ে আচমকাই হাজির হয় পুলিশের একটি টহলদারি গাড়ি। জালিয়াতির পর্দা ফাঁস হয় তাতেই। রাস্তায় অন্য এক সাব ইন্সপেক্টরকে ওই রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে দেখে অবাক হয়ে যান টহলদারি পুলিশ গাড়ির কর্তব্যরত সাব ইন্সপেক্টর ও অন্য পুলিশ কর্মীরা। নৈহাটি থানার পুলিশ কর্মীরা বাপিকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কোন থানার পুলিশ। বাপি প্রথমে হম্বিতম্বি করলেও কোন থানায় কর্তব্যরত, তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি সে। সন্দেহ হয় পুলিশের। বাপির সঙ্গে আর এক যুবক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম বাপি চক্রবর্তী। সেই মোটরবাইক থামিয়ে কাগজপত্র নিয়ে পুলিশের পোশাক পরা বাপির কাছে নিয়ে যেত। টাকা আদায়ও করত সে। দুই বাপি একই এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিকে নকল পুলিশ ধরা পড়েছে বুঝতে পেরে জড়ো হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। দু’জনকেই নৈহাটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উর্দিধারী বাপি নিজেকে হাবরা থানার পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দিলে সেখানে যোগাযোগ করে নৈহাটি থানা। কিন্তু ওই নামে কোনও অফিসার নেই বলে জানিয়ে দেয় হাবরা থানা। পুলিশ বাপির কালো রঙের বাইকটি আটক করে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘জালিয়াতির অভিযোগে ধৃত দু’জনকে জেরা করে জানা যায়, মাঝে মাঝে হাইওয়ে ও অন্য রাস্তায় রাতের দিকে মোটর বাইক নিয়ে পুলিশের উর্দি পড়ে তোলাবাজির জন্য ঘুরত তারা।’’