Fire

২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছে বারুইপুরে প্লাস্টিক কারখানা, লড়াই চালাচ্ছে দমকল

এখনও জ্বলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরে প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির কারখানার আগুন। দমকল আধিকারিকদের মতে, কারখানার পাঁচটি পকেটে আগুন রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ ১৩:২৮
Share:

আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। — নিজস্ব চিত্র।

প্রায় এক দিন হয়ে গেল। এখনও জ্বলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরে প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির কারখানার আগুন। দমকল আধিকারিকদের মতে, এখনও কারখানার কয়েকটি পকেটে আগুন জ্বলছে।পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। প্রাথমিক ভাবে দমকলের পনেরোটি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা শুরু করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্য়াও কমে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দমকলের চারটি ইঞ্জিন পালা করে বিভিন্ন পকেটের আগুন আয়ত্তে আনার কাজ চালাচ্ছে। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দমকল আধিকারিক টিকে দত্ত বলেন, ‘‘কারখানার আগুন আয়ত্ত আনা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আগুন পাশে ছড়ায়নি। এই কারখানার মধ্যেই ছিল। পাশে একটি ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার স্টেশন আছে। সেখানেও আগুন ছড়ায়নি। এখানে ১৫টি ইঞ্জিন গতকাল (শনিবার) রাত থেকে কাজ করছে। আজকের দিনটা লাগবে বলে মনে করছি।’’ দমকল আধিকারিকদের মতে, কারখানায় প্লাস্টিক মজুত থাকায় আগুন আয়ত্তে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। ওই কারখানায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা উপযুক্ত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে দমকল। দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। শনিবার রাত আটটা নাগাদ মল্লিকপুরের পাঁচঘরার কাছে খিরিশতলা এলাকায় ওই কারখানাটিতে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানা জুড়ে।

কারখানার শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সেখানে বারুইপুর, মল্লিকপুর, সুভাষগ্রাম, চম্পাহাটি এলাকার তিন হাজারেরও বেশি মানুষ কাজ করেন। বহু মহিলাও কাজ করেন। শনিবার মহরম থাকায় অনেকে ছুটি নিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শনিবার রাতেই কারখানায় পৌঁছন বহু কর্মী। রবিবার সকাল হতেই কারখানার সামনে ভিড় করেন তাঁরা। কারখানায় এত বড় অগ্নিকাণ্ডে আশঙ্কায় তাঁরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন