পাটকাঠি থেকে আগুন, ক্ষতি সেতুর

ইছামতী নদীর উপরে নব নির্মিত একটি সেতুর নীচে বাসিন্দারা পাটকাঠির বান্ডিল রেখেছিলেন। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ওই পাটকাঠির গাদায় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেতুটির একটি বেয়ারিং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৭
Share:

ক্ষতিগ্রস্ত: আগুনে পোড়ার পরে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

ইছামতী নদীর উপরে নব নির্মিত একটি সেতুর নীচে বাসিন্দারা পাটকাঠির বান্ডিল রেখেছিলেন। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ওই পাটকাঠির গাদায় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেতুটির একটি বেয়ারিং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

গোপালনগর থানার অম্বরপুর এলাকার মুড়িঘাটা-অম্বরপুর সেতুর নীচে ঘটনাটি ঘটে। পূর্ত দফতরের (সড়ক) আধিকারিকেরা সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় সেতুটি ঠিক ভাবে পরিদর্শন সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার ফের তাঁরা সেতুটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে হঠাৎ গ্রামবাসীর নজরে আসে, কংক্রিটের সেতুর নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তাঁরা গিয়ে দেখেন, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। নদী থেকে জল তুলে ও মোটর চালিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। বনগাঁ থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেড় ঘণ্টা পরে আগুন আয়ত্তে আসে।

Advertisement

তখনও নেভেনি আগুন।

সেতুটি চলতি বছরেই উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বনগাঁ মহকুমায় এটি সব থেকে বড় সেতু। স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বহু বছরের আন্দোলনের পরে আমরা পাকা সেতু পেয়েছি। কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাবে সেতু এ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল।’’

তাঁর দাবি পূর্ত দফতরের উচিত এলাকাটি ঘিরে দেওয়া। মঙ্গলবার যাঁদের পাটকাঠির গাদায় আগুন লেগেছিল, তাঁদেরই এক জন রানি ভদ্র বলেন, ‘‘বুঝতে পারিনি এ ভাবে সেতুর নীচে পাটকাঠি রাখা উচিত নয়। আর কখনও রাখব না।’’

এ দিন সেতুর নীচে প্লাস্টিকের বস্তা পড়ে আছে। একটি শিশু শিক্ষা নিকেতন স্কুলের ক্ষুদ্র পড়ুয়াদের জন্য উনুন জ্বালিয়ে রান্না করা হচ্ছে সেখানে। পূর্ত (সড়ক) বারাসত ডিভিশন হাইওয়ে-২ সূত্রে জানানো হয়েছে, কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেতুর আশেপাশের এলাকা ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন