Ashoknagar TMC Leader Murder

অশোকনগরে তৃণমূল উপপ্রধান খুনে নয়া মোড়! হত্যাস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

রবিবার রাতে গুমার নিবেদিতা পল্লি এলাকার বাসিন্দা তুহিন দত্তের বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন উপপ্রধান বিজন। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন আততায়ী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ১০:০৬
Share:

অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের গুমা ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাস খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। খুনের ঘটনায় ধৃত পলাশ শর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল আগ্নেয়াস্ত্র। কাঠের ভুসির মধ্যে থেকে সেই আগেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেখানে বিজন খুন হন, তার থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই লুকানো ছিল আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। উপপ্রধান খুনে পলাশের পরিবারের বাকি সদস্যদেরও গ্রেফতারের দাবিতে সরব স্থানীয়েরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার অন্য এক অভিযুক্ত গৌতম দাসের বাড়িতে আবার ভাঙচুর চালিয়েছেন। পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। গুমা স্টেশন রোডে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এখনও বন্ধ রয়েছে এলাকার দোকানপাট।

Advertisement

রবিবার রাতে গুমার নিবেদিতা পল্লি এলাকার বাসিন্দা তুহিন দত্তের বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন উপপ্রধান বিজন। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন আততায়ী। মাথায়-পিঠে গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ওই পঞ্চায়েতেরই প্রধান ও তাঁর স্বামীর। অভিযোগ ওঠে, এলাকায় ‘জমি মাফিয়া’ বলে পরিচিত গৌতমের বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। রাতের দিকে তুহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পলাশকে। যদিও গৌতম এখনও অধরা।

সোমবার অশোকনগর থানায় বিজনের মেয়ে কোয়েনা পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজনের মেয়ে থানায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে নাম রয়েছে গৌতম দাস, পলাশ শর্মা, গৌতম নন্দী, রাম দেবনাথ, প্রধান জেসমিন সাহাজি এবং তাঁর স্বামী সাদিক সাহাজির। কোয়েনার দাবি, কয়েক মাস ধরে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন কাজ নিয়ে প্রধানের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তাঁর বাবার। খুনের দিন চারেক আগেও প্রধানের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় তাঁর। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেসমিন। তাঁর কথায়, ‘‘বিজনদার সঙ্গে সম্পর্ক কখনও খারাপ ছিল না। আমাদের মধ্যে সরাসরি কোনও ঝামেলাও হয়নি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন