বাঘের আক্রমণে জখম হলেন এক মৎস্যজীবী।
পাথরপ্রতিমার ওই বাসিন্দার নাম নিতাইচন্দ্র বর। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ঠাকুরান নদীর মোহনায়, কলস দ্বীপের কাছে। তাঁকে পাথরপ্রতিমা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয় কলকাতায়। কিন্তু বুধবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে শয্যা খালি না থাকায় এ দিনই সন্ধ্যায় ফিরিয়ে আনা হয় পাথরপ্রতিমা গ্রামীণ হাসপাতালে। ওই মৎস্যজীবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম থেকে প্রাথমিক ড্রেসিং করে ট্র্যাকশন দেওয়া হয়েছে। চোট রয়েছে মুখে, ঘাড়ে এবং ডান হাতে।
রামগঙ্গার রেঞ্জার বিমল মাইতি বলেন, ‘‘ঘটনার কথা জেনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিতাইয়ের বাড়ি ছোট বনশ্যামনগরে। মঙ্গলবার ডিঙিতে পাঁচ জন মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন কলস দ্বীপের কাছে। নিতাইবাবুর দাদা জগন্নাথ বলেন, ‘‘জাল ফেলে উঠে আসছিলাম, এমন সময় জাল আটকে যায় ম্যানগ্রোভে। ডিঙি থেকে নেমে ভাই সেই জাল ছাড়াতে গিয়েছিল। এমন সময়ে গাছের উপর থেকে বাঘ লাফিয়ে পড়ে ঘাড়ে।’’
চরের কাদায় হাঁটু পর্যন্ত গেঁথে যায় নিতাইয়ের। ভাইয়ের চিৎকার শুনে নৌকো থেকে বেরিয়ে লাঠি নিয়ে তাঁর দুই দাদা এবং আরও দুই মৎস্যজীবী চিৎকার করে তেড়ে যান। তাতেই পালায় বাঘ।