মুখোমুখি: চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
বসিরহাটের সীমান্তবর্তী নদীগুলিতে সুষ্ঠু ভাবে বিজয়া সম্পন্ন করতে ভারত-বাংলাদেশের আধিকারিকদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হল শুক্রবার। মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে, কোনও পক্ষই নদীবক্ষে তাদের দেশের সীমানা অতিক্রম করবে না। মাঝনদী বরাবর নিজের দেশের সীমান্তের মধ্যে বিসর্জনের অনুষ্ঠান করবে। সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ শেষ করতে হবে।
এ দিন টাকির শ্মশানঘাট এলাকাতে ওই ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারাসত) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসএফের কোম্পানি কম্যান্ডার এবং বাংলাদেশের দেভাটা-শ্রীপুরের সীমান্তরক্ষী বিবিজির কোম্পানি কম্যান্ডার, সাথক্ষিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রমুখ। একই ভাবে হিঙ্গলগঞ্জেও দু’দেশের আধিকারিকদের নিয়ে এ দিন ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘আমরা যৌথ ভাবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উভয় দেশই শনিবার ইছামতীর বক্ষে প্রতিমা নিরঞ্জনের। সেই মতো সর্বত্র প্রচারও শুরু হয়েছে।’’
টাকিতে দু’দেশের মাঝে ইছামতী নদীকে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। সে কারণে নির্দিষ্ট দিনে নদীতে বিএসএফের পাশাপাশি চোখে পড়ার মতো পুলিশি টহল রাখা হবে বলে জানিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডাঙা ছাড়াও নদীবক্ষে দু’দেশের সীমানার মধ্যে যাতে মানুষ আনন্দ করতে পারেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে বিএসএফ এবং বিবিজি।’’ কোনও ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কাউকেই এ দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।