মাছ নিয়ে গুজব, পুলিশের জালে ৪ 

ইছামতী নদীর মাছ থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে, অসুস্থ হচ্ছে মানুষ— সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন গুজব রটানোর অভিযোগে চার যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪২
Share:

ধৃত: গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এদের বিরুদ্ধেই। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

ইছামতী নদীর মাছ থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে, অসুস্থ হচ্ছে মানুষ— সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন গুজব রটানোর অভিযোগে চার যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার রাতে বনগাঁর পুলিশ অমিত দত্ত, অভি কুণ্ডু, অভ্রজিৎ রায় ও সঞ্জীব বিশ্বাস নামে ওই চারজনকে ধরে। তাদের বাড়ি বনগাঁ শহরেই। অভ্রজিতকে বসিরহাট থেকে এবং বাকিদের তাদের বাড়ি থেকে ধরা হয়। ধৃতদের শনিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরেই এই গুজব রটানো হচ্ছে। শুক্রবার বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নামে স্থানীয় এক যুবক থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশের তরফে বিষয়টি সিআইডিকে জানানো হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তদন্তকারীরা ‘বনগাঁ লোকাল’ নামে একটি হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপের সন্ধান পান। সেখানেই ওই পোস্টটি দেখা যায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, পোস্টে লেখা ছিল, ইছামতীর মাছে ‘মরফিন ভাইরাস’ ছড়িয়েছে। এক ডাক্তারের নাম উল্লেখ করে তাতে লেখা, এই মাছ খেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এক কেজি ওজনের বেশি মাছ কেউ খাবেন না। এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক, ওষুধ নেই। মেসেজের শেষে লেখা ছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা প্রচারিত।’

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অমিত, অভি, অভ্রজিৎ ওই হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন। গ্রুপের সদস্য সঞ্জীব দফায় দফায় অনেককে ম্যাসেজটি ফরওয়ার্ড করেছে। গুজবের জেরে বনগাঁর বাজারে বড় মাছ বিক্রি গত কয়েক দিনে কমেছে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানালেন, ক্রেতারা এসে ছোট মাছের খোঁজ করছেন। দাম কমালেও বড় মাছ মানুষ কিনতে চাইছেন না। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মরফিন’ বলে কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি নেই। সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো জানান, ‘মরফিন’ নামে ভাইরাসের অস্তিত্বই আমাদের জানা নেই। মানুষ যাতে গুজবে কান না দেন, সে জন্য প্রচার শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন