পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির নালিশ

বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টকে আটকে তাঁর এটিএমের পিন নম্বর জেনে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টকে আটকে তাঁর এটিএমের পিন নম্বর জেনে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

কাকদ্বীপের মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি সপ্তাহ দু’য়েক আগে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানা পুলিশের অবশ্য দাবি, গৌতমবাবুর অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। থানা এবং এটিএম দু’টি জায়গাতেই সিসি টিভি রয়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই সব বোঝা যাবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, দু’পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গৌতমবাবু দু’সপ্তাহ আগে অভিযোগ করলেও ঘটনাটি অবশ্য বেশ পুরনো। গত ৭ জুন কয়েকজন গ্রাহক গৌতমবাবুর মোবাইল সারাই এবং টেলারিংয়ের দোকানে টাকা চেয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তখন পুলিশ গিয়ে তাঁকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানায় নিয়ে আসে। গৌতমবাবুর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে গিয়ে নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা, মোটরবাইকের চাবি, প্যানকার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নেয়। এক অফিসার আমার এটিএম কার্ডগুলির পিন নম্বর জানতে চান। না বলতে চাইলে মারধর করা হয়। প্রাণভয়ে আমি নম্বর বলে দিই।’’ তাঁর দাবি, প্যান কার্ড, গাড়ির চাবি, এটিএম কার্ড পরে ফেরত পেলেও নগদ টাকা এবং একটি মোবাইল পাননি। পরে এটিএমের ব্যালান্স চেক করে দেখেন, ১৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু এত দিন পরে অভিযোগ কেন? গৌতমবাবুর যুক্তি, ‘‘পুলিশের ব্যবহারে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপরে মনে সাহস করে অভিযোগ করেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement