পর্যবেক্ষণ: চিকিৎসা শিবির। নিজস্ব চিত্র
পুর এলাকার বয়স্ক মানুষদের জন্য বিনা খরচে চিকিৎসা ও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হল বনগাঁয়। পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ‘স্বাস্থ্যদীপ’-এ প্রতি মাসে একবার বসবে ক্যাম্প। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও আসবেন সেখানে। বিনা খরচে ওষুধপত্র দেওয়া হবে। সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাফি, রক্তের নানা পরীক্ষা— সবই হবে নিখরচায়।
১৫ অগস্ট সবাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। হাজির ছিলেন ১৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পুরপ্রধান জানান, পুর এলাকায় ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। তাঁরা সকলেই এই পরিষেবার আওতায় আসছেন। পুরসভার চিকিৎসক সুকুমার সাউ জানান, প্রথম দিনে প্রায় সাড়ে সাতশো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এসেছিলেন পরিষেবা নিতে। পুর এলাকা ছাড়া পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও খবর পেয়ে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এসেছিলেন। তাঁদেরও ফেরানো হয়নি বিনাখরচের এই স্বাস্থ্য শিবির থেকে।
বনগাঁ শহরের সুভাষপল্লি এলাকার বাসিন্দা তিরাশি বছরের সুধীন দাস। আগে খেতমজুরি করতেন। দিন কয়েক আগে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। তারপর থেকে সব সময়ে মাথায় ব্যথা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মতো সামর্থ্য নেই। সুধীনবাবু মঙ্গলবার এসেছিলেন স্বাস্থ্যদীপে। চিকিৎসেকরা তাঁকে পরীক্ষা করে ওষুধপত্র লিখে দিয়েছেন। বিনামূল্যে ওষুধ দিয়েছেন। বিনা খরচে স্বাস্থ্যদীপে সিটি স্ক্যানও হয়েছে তাঁর। বাইরে থেকে এই পরীক্ষা করাতে কমবেশি হাজডার দেড়েক টাকা খরচ। সঙ্গে যাতায়াত ভাড়া। সুধীনবাবু বলেন, ‘‘বিনা খরচে না হলে চিকিৎসা করানো হত না আমার।’’
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন নেই। পুর এলাকার মানুষের কথা ভেবে কিছু দিন আগে পুরসভা সিটি স্ক্যান মেশিন বসিয়েছে। এর ফলে বনগাঁর মানুষকে আর রানাঘাট, বারাসতে ছুটতে হয় না। সাধারণ রোগীর থেকে অবশ্য এ জন্য সামান্য খরচ নেওয়া হয়, যা বাজারদরের প্রায় অর্ধেক বলে পুরসভা সূত্রের খবর।