ঘাট সংস্কারে কী ব্যবস্থা, জানাতে হবে ৭ দিনে

হুগলির তেলেনিপাড়ায় জেটি ভেঙে দুর্ঘটনার পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে বাঁশের সাঁকো হিসেবে তৈরি করা ওই অস্থায়ী জেটিগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

হুগলির তেলেনিপাড়ায় জেটি ভেঙে দুর্ঘটনার পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে বাঁশের সাঁকো হিসেবে তৈরি করা ওই অস্থায়ী জেটিগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। ওই ঘটনার পরে ব্যারাকপুরে কয়েকটি বাঁশের সাঁকোর ফেরিঘাট বন্ধও করে দিয়েছিল প্রশাসন।

Advertisement

বুধবার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মূল ২২টি ফেরিঘাটের ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফেরিঘাট সংস্কারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা জানিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ত দফতরকে রিপোর্ট দিতে হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ১১টি ফেরিঘাট সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ফেরিঘাটগুলির জেটি ও অন্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী সংস্কার করতে হবে, তা খুঁটিয়ে দেখে পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য।

Advertisement

এ দিন বারাসতে প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যারাকপুর ও হুগলির বেশ কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যানেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ, পূর্ত, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ১০টি ফেরিঘাটের জেটি কংক্রিটের। দু’টি আংশিক কংক্রিটের। বাকিগুলি বাঁশের। পূর্ত আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রতিটি ঘাট ও সাঁকোর কী কী পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে হবে, তা কাল, বৃহস্পতিবার থেকেই খতিয়ে দেখা শুরু হবে।

নিত্যযাত্রীদের অবশ্য অভিযোগ, ফেরিঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত আলো নেই। যার ফলে রাতে কোনও ঘটনা ঘটলে তাঁদের বিপাকে পড়তে হয়।

এ দিনের বৈঠকে ইজারাদারদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ঘাটগুলিতে আলো বাড়াতে হবে। চলাচলের সময়ে ভুটভুটির মাথাতেও জোরালো আলো জ্বালাতে হবে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি ঘাটেই শৌচাগারের সমস্যা আছে। পানীয় জল নেই সব ঘাটে। নেই অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থাও। এমনকী, সময় সারণি বা টিকিটের মূল্যও লেখা নেই বহু জায়গায়। এগুলিও অবিলম্বে চালু করতে বলা হয়েছে।

তেলেনিপাড়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি ঘাটে উদ্ধারকারী নৌকা ও লাইফ জ্যাকেট রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুরজিৎ বসু বলেন, ‘‘ফেরিঘাটগুলি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ পারাপার করেন। জলপথে নিরাপত্তার বিষয়টিতে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। তাই এই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।’’

ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরে কয়েকটি বাঁশের সাঁকোর ফেরিঘাট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সেগুলি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত চালু করা যাবে না বলেও এ দিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন