পাচারের তালিকায় রসুনও

গরু, মোটরবাইক, হেরোইন, সোনার বিস্কুট, কাফ সিরাপ তো ছিলই, এ বার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে পাচারের তালিকায় নাম জুড়ল রসুনের। সম্প্রতি বিএসএফের নজরদারিতে মিলেছে রসুন পাচারের নিদিষ্ট কিছু প্রমাণ।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৩
Share:

গরু, মোটরবাইক, হেরোইন, সোনার বিস্কুট, কাফ সিরাপ তো ছিলই, এ বার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে পাচারের তালিকায় নাম জুড়ল রসুনের। সম্প্রতি বিএসএফের নজরদারিতে মিলেছে রসুন পাচারের নিদিষ্ট কিছু প্রমাণ।

Advertisement

সম্প্রতি গাইঘাটা থানার পুলিশ স্থানীয় ঝাউডাঙা মোড় এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দু’জন রসুন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, চন্দ্রকান্ত হালদার ও সুখদেব বিশ্বাস নামে দুই ধৃতের থেকে ৯৯টি বস্তায় প্রায় ২ হাজার কেজি রসুন আটক করা হয়। ধৃতদের বাড়ি স্থানীয় আঙরাইল ও গদাধরপুর এলাকায়। এর পরেই সীমান্ত দিয়ে রসুন পাচারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, মূলত আংরাইল সীমান্ত ব্যবহার করেই বাংলাদেশ থেকে রসুন পাচার করা হচ্ছে এ দেশে। ইছামতী নদী পেরিয়ে ঢুকছে বস্তা বস্তা রসুন। তারপরে সেগুলি ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এ দেশে পাচার করা একটি বস্তায় ২০ থেকে ২৫ কেজি রসুন থাকে। বাংলাদেশ থেকে আসা ওই রসুনগুলির কোয়া বড় এবং লালচে। দেখতে কিছুটা পেঁয়াজের মতো। বাংলাদেশের বাজারে কিন্তু ওই রসুনের তেমন চাহিদা নেই। মূলত সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে পাচারের জন্যই এই রসুন চাষ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে রসুন চাষ হয় সেগুলি অনেক ছোট এবং সাদা।

Advertisement

কিন্তু বাংলাদেশে যে রসুনের তেমন চাহিদা নেই সেগুলি এ দেশে পাচার করা হচ্ছে কেন?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে চাষ হওয়া রসুনের দাম অনেক কম। বাংলাদেশ থেকে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকা দরে রসুন কিনে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে পাঠানো হয়। সেই রসুনই কলকাতার বড়বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা দর বিক্রি করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, রসুন পাচার বন্ধে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে বিএসএফকে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আংরাইল সীমান্ত-সহ জেলার প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলছে বিশেষ নাকা তল্লাশি। রসুন-সহ নানা পাচার এখন কড়া হাতে বন্ধ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন