প্রেমে প্রত্যাখ্যান, ছুরি কিশোরীকে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে সম্পর্ক ছিল পেশায় রাজমিস্ত্রি সাইরুলের। কিন্তু কয়েক মাস ধরে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। এ দিন বারাসত হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে, সাইরুল ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০২:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ইদে দিদির বাড়ি গিয়েছিল মেয়েটি। সে কখন দিদির বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে, কখন নিজের বাড়িতে ঢুকবে— ফোনে মেয়েটির সঙ্গে সব যোগাযোগ রাখছিল তার প্রাক্তন প্রেমিক। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে, তা সম্ভবত মেয়েটি নিজেও ভাবেনি। তার পরিবারের অভিযোগ, রাস্তায় ওই ছেলেটির সঙ্গে দেখা হতেই সে একটি ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ওই কিশোরীকে।

Advertisement

বুধবার রাতে, মধ্যমগ্রাম থানার কোরা এলাকার ঘটনা। মহম্মদ সাইরুল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরী বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সাইরুলকে বারাসত আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটির সঙ্গে ইদানীং ছেলেটির বনিবনা হচ্ছিল না। ফোনে অনেকক্ষণ কথা, রাগারাগিও হয়। তার পরেই ছেলেটি এমন কাণ্ড ঘটায়।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে সম্পর্ক ছিল পেশায় রাজমিস্ত্রি সাইরুলের। কিন্তু কয়েক মাস ধরে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। এ দিন বারাসত হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে, সাইরুল ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বুধবার রাতে মেয়েটি বারাসতের চন্দনপুর থেকে দিদির বাড়ি যায়। ফেরার পথে ওই ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী কখন দিদির বাড়ি গিয়েছিল, কখন ফিরবে— সব কিছু নিয়ে তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় সাইরুলের। দিদির বাড়ি থেকে মেয়েটি এক যুবকের সঙ্গে ফিরছিল। সে সময়ে হঠাৎই হাজির হয় সাইরুল। ওই ছেলেটিকে কিশোরীর সঙ্গে দেখে সে খেপে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকাই আর্ত চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে এসে দেখেন, একটি মেয়েকে এক যুবক ছুরি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করে চলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘সে এক বীভৎস দৃশ্য। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেয়েটার সারা শরীর। আর ছেলেটা ছুরি মেরেই যাচ্ছে।’’

সাইরুলকে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। বারাসত হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর গাল, ঘাড়, কোমর ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে। শ্লীলতাহানি এবং অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দায়ে সাইরুলের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন