চাপের মুখে বয়ান বদল, দাবি তরুণীর

তপনবাবুকে ইতিমধ্যেই ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন কমিশনারেটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাতারাতি ফের বয়ান বদল করলেন নৈহাটির ছাত্রী।

Advertisement

পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার। তদন্তকারী অফিসার, নৈহাটি থানার সাব ইন্সপেক্টর তপন শীলের বিরুদ্ধে ওই তরুণী কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করেন থানায়। বুধবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে বসে আবার দাবি করেন, ওই অভিযোগ সাজানো। আইনজীবীর পরামর্শ মতো ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।

তপনবাবুকে ইতিমধ্যেই ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন কমিশনারেটে।

Advertisement

এ দিন ব্যারাকপুর আদালতে গিয়ে আবার ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘পুলিশ জোর করে আমাকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলিয়েছে। ওই অফিসারই আমাকে দিনের পর দিন এসএমএস করেছেন। আমরা পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানানোর পরেই পুলিশ আমাদের উপরে মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমাদের দু’টি ফোন কেড়ে নিয়েছে।’’ ছাত্রীর মা-ও বলেন, ‘‘পুলিশের চাপের মুখে মেয়ে ওই কথা বলেছিল।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। খেতে দেওয়া হয়নি। মায়ের দাবি, ‘‘আমাকে অশিক্ষিত বলে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’’

পুলিশের ভূমিকায় এ দিন বিরক্তি প্রকাশ করে তরুণীর আইনজীবী সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুলিশ ক্ষমতার জোরে সত্যিকে মিথ্যা করছে। আমরাও আইনের পথে সত্যিকে তুলে ধরব। আদালতে পুলিশের এই নিন্দনীয় ভূমিকা নিয়ে পিটিশন জমা করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারকেও জানানো হয়েছে।’’

কিন্তু ফোন যদি তপনবাবু করে থাকেন, তবে তার রেকর্ড থাকার কথা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রী ও পুলিশ অফিসারের কললিস্টের কোনওটাতেই কোনও ফোন বা এসএমএস আদান প্রদানের হদিস নেই। ওই ছাত্রীই অন্য নামে সিম তুলে এই এসএমএস করেছিলেন বলে বুধবার জানিয়েছিলেন।

এ দিনও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার বিভ্রান্ত করছেন। যদি অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর কোনও ফোন বা এসএমএস করে থাকেন, তবে প্রযুক্তিগত ভাবে তা প্রমাণ হওয়া সম্ভব। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিষয়টা সাজানো। আর ওঁরা সত্যি কথা বললে আমার সঙ্গে এসে কথা বলতে পারতেন। আদালত চাইলে আমরা সব তথ্য দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন