সৌজন্য বিনিময়। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার।
সপরিবারে গঙ্গাসাগরে পুজো দিতে এলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এ দিন দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ হলদিয়া থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্টে করে গঙ্গাসাগরে আসেন রাজ্যপাল। সরকারি গেস্ট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পরে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিতে যান তিনি। মন্দিরে তাঁকে স্বাগত জানান অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদের প্রধান মোহন্ত জ্ঞানদাস। তিনিই রাজ্যপালের হয়ে পুজো দেন। পুজো দেওয়ার পরে জ্ঞানদাস রাজ্যপালকে বলেন, ‘‘বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সমুদ্র ক্রমাগত কপিল মুনির মন্দিরের দিকে এগিয়ে আসছে। এই রকম চলতে থাকলে মন্দির রক্ষা করা দায় হয়ে উঠবে। আপনি বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানান।’’ সমুদ্রের এগিয়ে আসা রুখতে মন্দিরের সামনের বালির উপর কংক্রিটের গার্ডওয়াল দিলেও সেটি ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। সেচ দফতরের তরফে স্থায়ী ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও এ বছর কোনও ব্যবস্থা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক পিবি সালিমের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান মোহন্ত জ্ঞানদাস। তাঁর দাবি, মুড়িগঙ্গার উপরে কাকদ্বীপ-সাগর সেতু না থাকায় গঙ্গাসাগর মেলায় অনেকেই আসতে পারছেন না। এর উপরে রয়েছে সমুদ্র ভাঙনের আশঙ্কা। মন্দিরের বিষয় নিয়ে মোহান্তর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন রাজ্যপাল। বেলা ১ টা নাগাদ রাজ্যপাল হোভারক্রাফ্টে করে হলদিয়া ফিরে যান।