তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিঁএমসিপি) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন ফলতা কলেজে ওই সংগঠনেরই প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। শুক্রবার বিকেলে কলেজের বাইরে ওই সংঘর্ষে জখম মোস্তাকিন মোল্লা নামে ওই ছাত্রকে ফলতা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর মাথা ফেটেছে। চোখ-মুখে কালশিটের দাগ পড়েছে। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গোবিন্দ দাস নামে ওই সংগঠনেরই কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে। তবে, অভিযোগ মানেননি গোবিন্দ। টিএমসিপি-র একটি সূত্রের দাবি, কলেজে সংগঠনের ইউনিট সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েই ঝামেলা। তবে, ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের দাবি, ‘‘বাচ্চাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। তা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।’’ শুক্র ও শনিবার কলেজে আসেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘‘কলেজের বাইরের ঘটনার কথা শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয়নি।’’ পুলিশ ও টিএমসিপি-র একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফলতায় সংগঠনের ব্লক সভাপতি কৌশিক প্রামাণিকের পছন্দের গোবিন্দকেই ইউনিট সভাপতি করার চেষ্টা হয়। তার বিরোধিতা করেন কলেজের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইস্রাফিল খান। তাঁর পছন্দের ছিলেন মোস্তাকিন। তা নিয়েই গোলমাল চলছিল কিছু দিন ধরে।