সুপর্ণাদেবীর শ্বশুরবাড়ির বাইরে ভিড় উত্তেজিত জনতার। —নিজস্ব চিত্র।
নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এ বার তারই খেসারত দিতে হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাঁর মৃত্যু খুন না-কি আত্মহত্যা তা এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুপর্ণা মণ্ডল বড়ুয়া (২৩)। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার অবন্তীপুরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা সমর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সুপর্নাদেবীর স্বামী সুমিত ওরফে ক্যালমা এবং শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক।
সুপর্ণাদেবীর শ্বশুরবাড়ি জগদ্দলেরই মণ্ডলপাড়ায়। বাপের বাড়ি পাশের পাড়া বুড়িবটতলায়। তাঁর স্বামী প্রথম থেকেই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। সে কথা জানতেন সুপর্ণাদেবী।। বিয়ের আগে সুপর্ণাদেবীর পাড়ায় তার নিত্য আনাগোনা ছিল। সেই থেকেই তাঁদের পরিচয়। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। তবে দুষ্কৃতীকে তাঁর জামাই করতে নারাজ ছিলেন পেশায় সবজি বিক্রেতা সমরবাবু। তিনি জানান, বছর তিনেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ক্যালমাকে বিয়ে করেন সুপর্না। কিন্তু বিয়ের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। মেয়ের উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। বিয়ের পর থেকে বেশির ভাগ সময়টাই তিনি বাপের বাড়িতে কাটিয়েছেন। গত শনিবার তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ক্যালমা। তার পরে এই ঘটনা। তাঁর একটি দেড় বছরের ছেলে রয়েছে। টাকার জন্য মাঝে মধ্যেই তাঁর উপরে চাপ দেওয়া হত বলে সমরবাবুর অভিযোগ। তিনি জানান, সম্প্রতি তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চায় ক্যালমা।
তিনি জানান, সুপর্না তাঁর কাছেই ছিল। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়দের ক্ষোভে প়ড়ে ক্যালমা ও তার পরিবার। ভাঙচুর চালানো হয় তাদের বাড়িতে।