Mamata Banerjee

হেনস্থার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, তৎপর পুলিশ-প্রশাসন

মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সরাসরি সমস্যার কথা জানিয়েছেন উৎপল। সে সময়ে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীকে কাছে ডেকে কথা বলছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবড়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

হাবড়ার বাণীপুরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। সেখানে বেশ কিছু সরকারি পরিষেবা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন তিনি। মঞ্চ থেকেই মৌ-পালক কর্মী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে কিছু সাহায্য পান হাবড়ার কুমড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা উৎপল দত্ত। সে সময়ে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু একটা বলছেন উৎপল। মুখ্যমন্ত্রীর কানে কী বলেছিলেন তিনি?

Advertisement

বুধবার উৎপল জানালেন, বছরের বেশ কিছু সময় রাতে তাঁদের মৌমাছি সঙ্গে নিয়ে মধু চাষের জন্য ছুটতে হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রাতেই এই বিশেষ কাজ করতে হয়। রাজ্যের বেশ কয়েকটি থানা এলাকার উপর দিয়ে মৌমাছি বাক্সবন্দি করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় টহলরত পুলিশ গাড়ি থামায়। টাকা নেওয়া হয়। অথবা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। বেশিক্ষণ মৌমাছি এক জায়গায় থাকার ফলে দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে প্রশাসনিক বিভিন্ন মহলে তাঁরা চিঠি-চাপাটি করেছেন। তবে সে ভাবে উপকার কিছু হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সরাসরি সমস্যার কথা জানিয়েছেন উৎপল।

Advertisement

সে সময়ে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীকে কাছে ডেকে কথা বলছেন। পরে জেলাশাসক ও অন্য পুলিশ কর্মীরা উৎপলের নাম-ঠিকানা লিখে রাখেন। যেহেতু তাঁর বাড়ি হাবড়া থানা এলাকায়, তাই বুধবার তাঁকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এ দিন দুপুরে পুলিশের তরফে সমস্ত ঘটনা শোনা হয়। উৎপল সহ কয়েক জন মৌপালক থানায় এসেছিলেন। কোন কোন থানা এলাকার উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে সমস্যায় পড়তে হয়, সে কথাও এ দিন থানার আধিকারিককে জানানো হয় মধুচাষিদের তরফে। এ নিয়ে উচ্চমহলে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করে পুলিশ। পরামর্শ দেওয়া হয়, তাঁরা যেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশ সুপারদের কাছেও এ নিয়ে চিঠি দেন।

মাটিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা, মৌপালক বাকিবিল্লা মণ্ডল বলেন, ‘‘কিছুটা হলেও পুলিশের কথায় আশ্বস্ত হলাম। আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।’’ মৌপালক সংগঠনের (মধুক্রান্তি বি-ফার্মার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি) রাজ্য সভাপতি উৎপল দত্ত জানান, অনেক সময়ে এমনও হয়েছে, পুলিশের হয়রানির কারণে মৌমাছি বাক্সের মধ্যে মারা যাওয়ায় সারা বছরের জন্য ক্ষতিপূরণ হয়েছে। উৎপলের কথায়, ‘‘দরিদ্র শ্রেণির মানুষই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এ ধরনের পুলিশি হয়রানির ফল তাঁদের বছরভর ভুগতে হয়।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ জানানোর পরে প্রশাসনিক তৎপরতায় দেখে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন বলে জানালেন উৎপল।

পুলিশ জানিয়েছে, জেলাশাসকের নির্দেশে মৌপালকদের অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন