বারুইপুর হাসপাতালের ভেষজ বাগানে আগাছা

হাসপাতালের প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে ডান দিকে চোখে পড়বে বাগানটি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আয়ুষ বিভাগের সঙ্গে যৌথ ভাবে চলতি বছরের মে মাসে বাগানটি তৈরি করা হয়।

Advertisement

সমীরণ দাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২৫
Share:

অবহেলা: আগাছায় ভরেছে বাগান। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

মাস কয়েক আগে হাসপাতাল চত্বরের কিছুটা জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল ভেষজ বাগান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথায়, রোগীদের বিভিন্ন ভেষজ সম্পর্কে পরিচিত করাই উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু কয়েক মাসেই আগাছায় ভরেছে সেই জায়গা। অভিযোগ, অযত্নে নষ্ট হচ্ছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সেই বাগান।

Advertisement

হাসপাতালের প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে ডান দিকে চোখে পড়বে বাগানটি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আয়ুষ বিভাগের সঙ্গে যৌথ ভাবে চলতি বছরের মে মাসে বাগানটি তৈরি করা হয়। বাসক, পিপুল, তুলসী, নিম, হলুদ-সহ বিভিন্ন গাছের চারা বসানো হয়। প্রতিটি গাছের নীচে ছোট প্ল্যাকার্ডে নাম লিখে দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগ, ঘটা করে চারাগাছ বসানো হলেও সে সবের রক্ষণাবেক্ষণে কোনও উদ্যোগই ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই অনেক গাছ তুলে ফেলার অভিযোগ করছেন হাসপাতালের কর্মীদেরই কয়েক জন। লোপাট হয়ে গিয়েছে অনেক প্ল্যাকার্ডও। পড়ে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি।

Advertisement

হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনেরা বলছেন, এ ভাবে ফাঁকা জায়গায় ভেষজ বাগান তৈরি করার পরিকল্পনা প্রশংসাযোগ্য। এক রোগীর আত্মীয় সুকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘যখন বাগানটি শুরু হয়েছিল, তখন প্ল্যাকার্ডে লেখা নাম পড়ে চিনেছিলাম গাছ। এ বার এসে দেখছি, সেই বাগান আগাছায় ভরে গিয়েছে!’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাগানের যথাযথ পরিচর্যা করা। তৈরির পাঁচ মাসের মাথায় এমন বেহাল দশা যে কর্তৃপক্ষের নজর না দেওয়ার ফল, তা মানছেন সকলেই।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার অচিন্ত্য গায়েন বলেন, ‘‘ভেষজ উদ্ভিদ থেকে নানা ভাবে আমরা উপকৃত হয়ে থাকি। আমাদের আশপাশে রয়েছে সেই সব গাছ। অথচ এর সঠিক ব্যবহার আমরা জানি না। সেটা সাধারণ মানুষকে জানাতেই এই বাগানের পরিকল্পনা করা হয়। প্রথম পর্যায়ে সুন্দর করে বাগান সাজানো হলেও বর্ষায় অবশ্যই বাগানের কিছু অযত্ন হয়ে গিয়েছে। যে কারণে আগাছায় ভরেছে এলাকা।’’ তিনি জানান, দ্রুত ওই আগাছা পরিষ্কার করা হবে।

বাগানটি ঘিরে পরবর্তী পরিকল্পনার কথাও জানান হাসপাতালের সুপার। তাঁর কথায়, ‘‘আরও নানা রকম ভেষজ উদ্ভিদ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে. পাশাপাশি প্রতিটি উদ্ভিদের কী গুণাগুণ সেটাও আমার বিস্তারিত লিখে দেব। যাতে মানুষ এক ঝলকে পুরোটা জেনে যেতে পারেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন