সারানো হয়নি বাঁধ, প্লাবিত মৌসুনি দ্বীপ

সেচমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, পনেরো দিনের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ হয়নি। ফলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিলই। যাকে সত্যি করেই জল ঢুকে প্লাবিত হল কাকদ্বীপের মৌসুনি দ্বীপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০১:১০
Share:

জলমগ্ন এলাকা। নিজস্ব চিত্র।

সেচমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, পনেরো দিনের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ হয়নি। ফলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিলই। যাকে সত্যি করেই জল ঢুকে প্লাবিত হল কাকদ্বীপের মৌসুনি দ্বীপ।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মৌসুনি দ্বীপের যে জায়গাটি কোস্টাল এলাকা সেখানে আগে রিং বাঁধ তৈরি করেও কোনও কাজ হয়নি। তাই সেখানে কংক্রিটের বাঁধের প্রয়োজন। তাই ওই এলাকায় ৩ কিলোমিটার আয়লা বাঁধ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, বালিয়াড়ার বাবলু পয়েন্ট থেকে ১৪ নম্বর সোয়াল পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় রিং বাঁধ নেই বললেই চলে। সেখান দিয়েই জল ঢুকে বালিয়াড়ার বেশ কিছু এলাকা ডুবে গিয়েছে। প্রায় ১ হাজার একর এলাকা জলমগ্ন। বাঁকা পয়েন্ট, পাতিবুনিয়া খেয়াঘাট এবং ১২ নম্বর স্লুইসগেট এলাকায় বাঁধের অবস্থাও ভাল নয়। বাগডাঙায় একটি স্লুইসগেট খারাপ। কুসুমতলা এলাকায় বাঁধেও ফাটল রয়েছে। সেখানে ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেচ দফতরের এক কর্তার অবশ্য দাবি, ৩০০ মিটার নয়, কুসুমতলায় ১৫০মিটার এলাকায় বাঁধ খারাপ রয়েছে। সেখানে কাজ হবে।

Advertisement

গৌতমবাবু বলেন, ‘‘টেন্ডার করে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভরা কোটালের জন্য এখন কাজ বন্ধ। বৃষ্টি কমলেই ফের কাজ শুরু হবে।’’

গত ৮ জুন নামখানার বন্যা কবলিত এলাকায় যান সেচমন্ত্রী। এলাকা ঘুরে তিনি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করতে বলেছিলেন। ঠিকাদার সংস্থা সময়ে কাজ না করলে প্রয়োজনে তাদের বাতিল করার নির্দেশও দিয়েছিলেন মন্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মন্ত্রীর নির্দেশের পরেও কাজ সে ভাবে হয়নি।

ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ফেরি সার্ভিস ব্যাহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দুর্গত এলাকায় সেখানে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন