শ্বশুর ও নন্দাইয়ের যৌন হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন অন্তঃসত্ত্বা এক বধূ।
ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোড়ারাস গ্রামের। বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই বধূর। তাঁর অভিযোগ, বিয়েতে সাধ্যমতো যৌতুক দিয়েছিলেন বাবা-মা। তারপরেও অতিরিক্ত পণের দাবিতে অত্যাচার চলছিল বছর সতেরোর মেয়েটির উপরে। তাঁর স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। সেই সুযোগে গত কয়েক মাস ধরে মেয়েটির শ্বশুর ও নন্দাই তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেছে বলে অভিযোগ। শ্লীলতাহানিও করা হয়।
স্থানীয় ভাবে সালিশি সত্ত্বেও শ্বশুরকে নিয়ন্ত্রতণে আনা যাচ্ছে না। ওই বধূর আরও অভিযোগ, শাশুড়ি বা স্বামীকে বলেও লাভ হয়নি। উল্টে, তাঁকেই নানা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ ‘সম্ভ্রম’ বাঁচাতে বুধবার ওই মহিলা ঘোড়ারাস পঞ্চায়েতের প্রধানের সাথে দেখা করে সব জানান। আশ্রয় চান। সব শুনে হতবাক হয়ে যান প্রধান সীতা দাস।
তিনি বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলার উপরে দিনের পর দিন এ ভাবে অত্যাচার চলছে। আমাদের বারণও শুনতে রাজি নয় ওরা।’’ এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
বসিরহাট থানায় অভিযোগ জানান ওই বধূ। আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা সকলে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’’ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ওই বধূর চিকিৎসা এবং পথ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে।