পরিচয় জেনে তবেই ভাড়া দিন, কালীপুজোয় প্রচার পুলিশের

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তবর্তী বাগদা ব্লকে পর পর কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। 

Advertisement

 নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪৩
Share:

সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা প্রায়শই বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে। বড় সড় অপরাধ ঘটিয়ে ফের কাঁটাতার পেরিয়ে পালায়।

Advertisement

এই পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্ত এলাকায় বা়ড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে ভা়ড়াটেদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর করতে বার বার সচেতন করেছে পুলিশ। কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয়নি। কালীপুজোতেও এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ করল বাগদা থানার পুলিশ। বোঝানো হয়েছে, বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। দুষ্কৃতীরা যাতে নাম ভাঁড়িয়ে এ দেশে আশ্রয় না পায়, সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তবর্তী বাগদা ব্লকে পর পর কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতী চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করে ছিল। সুযোগ বুঝে এ দেশের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডাকাতি-সহ নানা অপরাধ করে।

Advertisement

সীমান্ত-লাগোয়া বাগদা ব্লকে এ কোনও নতুন ঘটনা নয়। অতীতেও এখানে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকেছে। নাম-পরিচয় গোপন করে রাখা তাদের কাছে কোনও বড় ব্যাপারও নয়।

কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে একাধিক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতী বাগদার হেলেঞ্চায় এসে বাড়ি ভাড়া নেয়। একটি খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অবশ্য তাকে গ্রেফতার করেছিল।

বাগদা থানার ওসি অসীম পালের নেতৃত্বে এ নিয়ে ফের প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে বেছে নেওয়া হয়েছে কালীপুজোর সময়কে। পুজো উপলক্ষে এখানে এখানে প্রচুর ভিড়। দর্শনার্থীদের কাছে পুলিশের বার্তা পৌঁছে দিতে লাগানো হয়েছে বিশাল বিশাল হোর্ডিং। তাতে লেখা, ‘‘অচেনা কোনও মানুষের নাম-ঠিকানা সঠিক ভাবে না জেনে বাড়ি ভাড়া দেবেন না।’’ হোর্ডিংয়ে থানার এবং ওসির ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে মানুষ দ্রুত বা গোপনে কোনও তথ্য পৌঁছে দিতে পারেন। পুলিশ কর্তারা পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়েও ভাষণে ওই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করছেন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাগদার বহু মানুষ এখনও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে ভাড়াটিয়ার প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা করেন না। মাস শেষে ভাড়াটুকু হাতে পেলেই তাঁরা সন্তুষ্ট। অতীতে এমনও দেখা গিয়েছে, বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াকে নিজের আত্মীয় বলে প্রতিবেশীদের কাছে পরিচয় দিয়ে বাড়িতে রাখেন। কারণ, ভাড়াটিয়া হয় তো সে ক্ষেত্রে বাড়ির মালিককে বেশি টাকা দিয়েছিলেন।

বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘কালীপুজোর সময়ে বহু মানুষ বাগদায় আসেন। তাঁদের কাছে বাড়ি ভাড়া দেওয়া নিয়ে সতর্কতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। মানুষ সচেতন হলে দুষ্কৃতীদের সহজে শনাক্ত করা যাবে। তাই এই প্রচার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন