বেআইনি কারবার ডেকে আনতে পারে বড় বিপর্যয়

জাল হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে নানা তথ্য হাতে পাচ্ছেন আবগারি দফতরের কর্তারা। কারখানার মালিক রাজকুমার তামেলিকে মঙ্গলবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০২:২০
Share:

ধৃত: আদালতের পথে। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার

জাল হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে নানা তথ্য হাতে পাচ্ছেন আবগারি দফতরের কর্তারা। কারখানার মালিক রাজকুমার তামেলিকে মঙ্গলবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে রাজকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, জাল ওষুধের কারবার ছড়িয়ে পড়েছিল কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা-সহ নানা জায়গায়। ‘অর্ডিনারি ডিনেচার্ড স্পিরিট’কে দেশীয় কায়দায় ‘রেক্টিফায়েড স্পিরিট’-এ রূপান্তরিত করা হত রাজকুমারের কারখানায়। আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, এই কাজের জন্য তাঁদের অনুমোদন লাগে। সে সবের তোয়াক্কা করতেন না রাজকুমার।

আবগারি দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘অর্ডিনারি ডিনেচার্ড স্পিরিট থেকে রেক্টিফায়েড স্পিরিট তৈরি করতে গেলে বেশ কিছু কারিগরি নির্দেশিকা মানতে হয়। পুরো বিষয়টিই করতে হয় আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে। তা না হলে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।’’

Advertisement

জানা গিয়েছে, পরিবর্তিত রেক্টিফায়েড স্পিরিট মেশানো হত বাজার থেকে আনা হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে। তাতে ঝাঁঝ বেড়ে যেত। এরপরে শিশিতে নতুন লেভেল দেওয়া হত। আবগারি কর্তাদের দাবি, এই বদল করতে গিয়ে যদি কোনও ভাবে স্পিরিটে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, তা বিষের মতো কাজ করে। মানুষ মারাও যেতে পারে। এর আগে সংগ্রামপুর চোলাই-কাণ্ডেও স্পিরিটের অনুপাতে গোলমাল হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রচুর লোক মারা গিয়েছিল।

কাকদ্বীপে প্রায় সাত বছর ধরে এই কারবার চালাচ্ছেন রাজকুমার, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সোমবারই কাকদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডের উপরে একটি গোডাউন এবং বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের সন্তোষপুরে চারতলা বাড়ির একটি গোডাউন থেকে প্রায় ৩০০ লিটার ডিনেচার্ড অ্যালকোহল উদ্ধার করে আবগারি দফতর। কর্তাদের দাবি, মাত্র ২০ লিটার অ্যালকোহল মজুত রাখার লাইসেন্স দেওয়া হয় হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরির কারখানা এবং দোকানকে। এত পরিমাণ অ্যালকোহল কোথা থেকে জোগাড় করতেন ওই কারখানা মালিক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন