Sand Mines

বেআইনি বালি খাদান বন্ধ করা হল বাদুড়িয়ায়

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ায় ইছামতী নদীর এক পাড়ে ফতুল্যপুর। অন্য পাড়ে পুঁড়ো। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে অবৈধ ভাবে বালি কেটে ব্যবসা চলছিল। এতে রাজস্বের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনই পরিকল্পনাহীন ভাবে নদীর মাঝখান থেকে বালি তুলে নেওয়ায় নদীর নাব্যতাও বাধা পায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:২০
Share:

উদ্যোগ: বালি খাদান বন্ধে হাজির পুলিশ। ছবি: নির্মল বসু

আগেই বন্ধ করা হয়েছিল অবৈধ একটি বালি খাদান। এ বার পাইপ, কপিকল-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে আরও তিনটি বালি খাদান বন্ধ করল পুলিশ- প্রশাসন।

Advertisement

শুক্রবার এই ঘটনায় বাদুড়িয়ার ফতুল্যপুর এবং পুঁড়ো গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে পুলিশ ও র‍্যাফ দেখে বিশেষ কেউ সামনে আসার সাহস করেনি।

বাদুড়িয়ার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষের পক্ষে লিখিত ভাবে জানানো হয়, ফতুল্যপুরের দু’টি এবং পুঁড়োয় একটি জায়গায় অবৈধ ভাবে মেশিনের সাহায্যে বালি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। তদন্তে জানা যায়, যারা বালি কাটছে, তাদের প্রয়োজনীয় সরকারি নথি নেই। এরপরেই পুলিশ ও প্রশাসন যৌথ ভাবে বালি কাটা বন্ধে অভিযানে নামে।’’ সুদীপ্তবাবু জানান, বেআইনি কারবারে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ায় ইছামতী নদীর এক পাড়ে ফতুল্যপুর। অন্য পাড়ে পুঁড়ো। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে অবৈধ ভাবে বালি কেটে ব্যবসা চলছিল। এতে রাজস্বের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনই পরিকল্পনাহীন ভাবে নদীর মাঝখান থেকে বালি তুলে নেওয়ায় নদীর নাব্যতাও বাধা পায়। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সর্বস্তর এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। মাস দু’য়েক আগে বাদুড়িয়ার লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি বালি খাদান বন্ধ করে দেয় পুলিশ-প্রশাসন। প্রশ্ন ওঠে, একটি বালি খাদান বন্ধ করা হলে বাকিগুলি বন্ধ করা হবে না কেন।

এ দিন দুপুরে বাদুড়িয়ার বিডিও ত্রিভুবন নাথ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওসি বাপ্পা মিত্র বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে বেআইনি খাদানগুলি বন্ধ করে দেন।

বাপ্পা বলেন, ‘‘অবৈধ বালি কাটার জন্য নদীর ধারে রাখা পাইপ এবং কপিকল-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও বালি ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহ বলেন, ‘‘আমরা মানুষের ক্ষতি করে অবৈধ ভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন