আর্বজনা: গাড়ুলিয়ায় ছবিটি তুলেছেন সজল চট্টোপাধ্যায়
নিকাশি নালা সাফাই হয় না দীর্ঘদিন। জমেছে আবর্জনা। দুর্গন্ধে টেকা দায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত বছর বর্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় মশাবাহিত রোগে অসুস্থ হয়েছিলেন অনেকে। মৃত্যুও হয় কয়েকজনের। এই বছর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে আগে থেকেই সাফাই অভিযান শুরুর নির্দেশ এসেছিল নবান্ন থেকে। কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন পুরসভা ঘুরে দেখা গিয়েছে, নিকাশি নালায় জমে রয়েছে নোংরা জল ও আবর্জনা। গাড়ুলিয়া পুর এলাকার অবস্থাও তেমনই।
শ্যামনগর স্টেশন থেকে বেরিয়ে ব্যারাকপুরের দিকে ঘোষপাড়া রোড ধরে এগোলে পিনকল মোড়। সেখানে বেশিরভাগ সময়েই রাস্তার পাশে আর্বজনা জমে থাকে। একই অবস্থা ঘোষপাড়া রোডের পাশে। পিনকল মোড় থেকে নোয়াপাড়া থানা, গাড়ুলিয়া পুরসভা, শ্মশান এবং ফেরি ঘাট যেতে হয়। সেই রাস্তার পাশেও জমে রয়েছে গাদা গাদা আবর্জনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর এলাকা সাফাই রাখার জন্য পুরসভার নজরদারির অভাব রয়েছে। সাফাই কর্মীর সংখ্যাও কম। যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও ঠিকভাবে কাজ করেন না।
গাড়ুলিয়া পুরসভায় কোনও পতঙ্গবিদ নেই। এ বার গরমের শুরু থেকেই গাড়ুলিয়া পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। নিকাশি নালাগুলিতে জন্মাচ্ছে মশা-মাছির লার্ভা। আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে নিকাশি নালা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই এই পুর এলাকায় কয়েক জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও পুরসভা সেটি স্বীকার করেনি।
গাড়ুলিয়ার পুরপ্রধান সুনীল সিংহের দাবি, ‘‘মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এলাকা পরিষ্কার রাখতে এখন রাতের বেলাতেও সাফাই অভিযান চলে। কিন্তু কেউ যদি নিজের বাড়ির সামনে নোংরা করে রেখে দেয়, তাহলে কতই বা সাফাই করা যায়!’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মশার উপদ্রব বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তার পর পুরপ্রধান নিজেই সাফাই কর্মীদের নিয়ে কয়েক জায়গায় ঘুরে আবর্জনা সাফাই করিয়েছেন। কিন্তু এখনও কয়েকটি হাইড্রেন সাফাই হয়নি। যদিও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেগুলিও দ্রুত সাফাই করা হবে।