এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে।—ছবি: নির্মল বসু।
বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে হাসপাতালগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দিকে এখন নজর সকলের। কিন্তু ‘স্বাস্থ্য জেলা’ হওয়ার পরে যে ধরনের ঝাঁ চকচকে ব্যবস্থা চালু হয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে, তাতে আগুন নিয়েও তাঁরা সতর্ক আছেন বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৈদ্যুতিক তারের কোথাও শর্ট সার্কিট হলে কিংবা সামান্য ধোঁয়া বেরোলেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিজে থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মেরামতির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাজতে থাকবে সাইরেন। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এমনই আধুনিক যন্ত্র (ফায়ার ইন্সট্রুমেন্ট) বসানো আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই যন্ত্র ছাড়াও আছে ১২টি আগুন নেভানোর স্প্রে মেশিন। সুপার শ্যামল হালদার বলেন, ‘‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ২০টি আগুন নেভানো স্প্রে মেশিন এবং আরও ৫-৭টি ফায়ার ইন্সট্রুমেন্ট বসানো হবে।’’ কোন জায়গায় কি ঘটছে তা জানতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে এবং করিডোরে ৯টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলেও জানান সুপার।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, এসএনসিইউ, ওটি, সিসিইউ, জরুরি বিভাগ, ল্যাবরেটরি, ডায়ালেসিস বিভাগ, করিডোর এবং অফিস-সহ যেখানে এসি মেসিন আছে— সর্বত্য অগ্নিনির্বাপক মেশিন লাগানো রয়েছে। তবে আগুন লাগলে কী ভাবে ওই সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, সে বিষয়ে হাসপাতালের সব কর্মীর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ আছে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।