Bhangar

নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ, ভাঙড়ে  ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

ভাঙড়ে বরাবরই আরাবুল ইসলাম ও ওহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত নান্নু হোসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০০
Share:

প্রতীীকী ছবি।

দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেন। মঙ্গলবার ভাঙড়ের শোনপুরে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম সম্পর্কে নান্নু বলেন, ‘‘উনি নিজেকে ব্লক সভাপতি বলে দাবি করেন। অথচ সেই দায়িত্ব পালন করেন না। ব্লক অফিসে যে ক’জন ঠিকাদার আছেন, তাঁদের মধ্যে ৫ জন ব্লক সভাপতির আত্মীয়। ব্লক অফিস এখন ঠিকাদাররা চালায়।’’

Advertisement

ভাঙড়ে বরাবরই আরাবুল ইসলাম ও ওহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত নান্নু হোসেন। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে আরাবুল ভাঙড়ে দলের প্রার্থী হলে তাঁকে হারাতে আসরে নামেন নান্নু। তিনি নির্দল প্রার্থী হন। ভোট কাটাকাটির খেলায় আরাবুল হেরে যান। জয়ী হন সিপিএমের বাদল জমাদার। এ দিন শোনপুরের মঞ্চ থেকে আরাবুলের নাম না করে নান্নু বলেন, ‘‘ভাঙড়ের এক নেতা নিজেকে ভূমিপুত্র বলে দাবি করেন। অথচ তিনি তাঁর নিজের এলাকা মাছিভাঙা, খামারাইটে ঢুকতে সাহস পান না।’’

নান্নু আরও বলেন, ‘‘ভাঙড়ের নেতারা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত, যে ঢালাই রাস্তার পরিবর্তে ঝামার রাস্তা তৈরি হয়। ব্লক অফিসে যাওয়ার রাস্তা বছরে তিনবার টেন্ডার হয়।’’

Advertisement

নান্নুর সুরে সুর মেলান ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মিজানুর আলমও। তাঁদের দাবি, ভাঙড়ের নেতাদের জন্যই এখানে আব্বাস সিদ্দিকির দলের বাড়বাড়ন্ত।

এ বিষয়ে আরাবুল ও ওহিদুলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘নান্নু হোসেন আমাদের দলের পুরনো কর্মী। ওঁর যদি কোনও ক্ষোভ থাকে, তা হলে দলের অন্দরে আলোচনা করতে পারতেন। প্রকাশ্য সভায় এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়, যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন