রবিবারের বিকেলে ‘নির্মল’ হল কাকদ্বীপ, তবে আশঙ্কা থাকছেই

কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে কাকদ্বীপ ব্লককে ‘নির্মল’ বলে ঘোষণা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।রবিবার কাকদ্বীপ কলেজের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পিবি সালিম, কাকদ্বীপের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা-সহ ব্লক ও জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০২:২১
Share:

সূচনা: অনুষ্ঠানে উড়ল বেলুন। রয়েছেন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা ও জেলাশাসক পিবি সেলিম। নিজস্ব চিত্র

কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে কাকদ্বীপ ব্লককে ‘নির্মল’ বলে ঘোষণা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।

Advertisement

রবিবার কাকদ্বীপ কলেজের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পিবি সালিম, কাকদ্বীপের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা-সহ ব্লক ও জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা। মহকুমার বাকি তিন ব্লক সাগর, পাথরপ্রতিমা এবং নামখানাকে এর আগেই ‘নির্মল’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দেরিতে হলেও সেই তালিকায় নাম তুলল মহকুমার সদর ব্লক কাকদ্বীপ। তবে এর পর কাকদ্বীপ মহকুমার মানুষের মাঠে গিয়ে শৌচকাজের অভ্যাস বদলানো যাবে কি না সেই নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে প্রশাসনের একাংশের।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-১২ সালের একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে যাঁদের বাড়িতে শৌচালয় ছিল না তাঁদের শৌচালয় তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জেলাশাসক পিবি সেলিম দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে আসার পরে সেই পরিকল্পনাকে ‘পাখির চোখ’ করে এগোতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুরো জেলায় ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৫০০টি শৌচাগার তৈরি করে ফেলেছি। তাই পুরো জেলাকে উন্মুক্ত শৌচবিহীন বলে ঘোষণা করতে দেরি হবে না।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত কাকদ্বীপ মহকুমা জুড়ে প্রায় ৬০ হাজার শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে কাকদ্বীপ ব্লকে তৈরি হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫টি শৌচালয়। মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘২০০৯ সালে কাকদ্বীপ দিল্লি থেকে পরিচ্ছন্নতার পুরস্কার পেয়েছিল। কিন্তু সেই অভ্যাস ধরে রাখা যায়নি। তাই দ্বিতীয় বার আমাদের ফের স্বচ্ছতার অভিযান চালাতে হয়েছে।’’ যদিও কাকদ্বীপ ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয়ের কাজ শেষ হলেও এখনও ওই ব্লকের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ খোলা মাঠে শৌচকাজ করতে যান। সেই অভ্যাস বদলাতে পাড়া নজরদারি কমিটি তৈরি করে কাজ করা হচ্ছে। ব্লককে ‘নির্মল’ বলে ঘোষণা করা হলেও সেই নজরদারি কমিটিগুলি তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। রবিবারের অনুষ্ঠানে কাকদ্বীপ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতকে আলাদা করে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকার সেরা পাড়া নজরদারি কমিটি, কয়েকটি স্কুল এবং আশা কর্মীদেরও পুরস্কৃত করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন