আক্রান্ত কেন, প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ

ইছামতী সেতুর কাছে ইটিন্ডা রোডে গার্ডরেল দিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা বসিরহাট শহর। পুলিশ ও মহকুমাশাসকের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কথা কাটাকাটি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪৫
Share:

উত্তেজনা: পুলিশকে ঘিরে আইনজীবীরা। ছবি: নির্মল বসু

আইনজীবী নিগৃহের প্রতিবাদে মঙ্গলবার আদালতে কর্মবিরতি পালন করলেন আইনজীবীরা। পথ অবরোধও করেন তাঁরা। পুলিশ সুপার ও মহকুমাশাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। ইছামতী সেতুর কাছে ইটিন্ডা রোডে গার্ডরেল দিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা বসিরহাট শহর। পুলিশ ও মহকুমাশাসকের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কথা কাটাকাটি হয়।

Advertisement

বসিরহাটের ফৌজদারি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন পাঁচজন আইনজীবী আক্রান্ত হলেন। মহকুমাশাসকের দফতর চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারল না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করার পরেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যতক্ষণ না অপরাধীরা ধরা পড়ছে, আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’’ এ দিন পুলিশের মধ্যস্থতায় বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বসিরহাটের পুলিশ সুপার শবরী রাজকুমার অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৮ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।’’

Advertisement

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে বসিরহাটের ফৌজদারি আদালতের প্রবীণ আইনজীবী সুব্রত সানাকে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দিন কয়েক আগেও দু’জন আইনজীবী মহকুমাশাসকের দফতরে ঢুকতে গেলে নিগৃহীত হন। বসিরহাট আদালতের দু’জন আইনজীবী এবং মুহুরিকে মারধরও করা হয়। সব ক্ষেত্রেই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ আছে আইনজীবীদের।

এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ বসিরহাটের দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালতের আইনজীবী, মুহুরি, টাইপিস্টরা কর্মবিরতির ডাক দেন। শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল।

আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে মিছিল যায় বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপারের অস্থায়ী দফতরে। পুলিশ সুপার না থাকায় অশান্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়। মিছিল ফিরে আসে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে, ইটিন্ডা রোডে। সেখানে শুরু হয় অবরোধ। বিক্ষোভকারীদের একাংশ মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালির দফতরের সামনে বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সে সময়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নীতেশের কথা কাটাকাটিও হয়। মহকুমাশাসকের দাবি, তিনি ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে মহকুমাশাসকের দফতর চত্বরে বহিরাগতদের খবরদারি চলবে কেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন