অনাস্থা প্রস্তাবে আইনি ত্রুটি, জানাল আদালত

রাজ্যের নানা প্রান্তে একের পর এক পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভায় অনাস্থা এনে দখল করছে তৃণমূল। কিন্তু শাসক দলের এই আগ্রাসন ধাক্কা খেল মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়দিঘি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৬ ০২:১১
Share:

রাজ্যের নানা প্রান্তে একের পর এক পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভায় অনাস্থা এনে দখল করছে তৃণমূল। কিন্তু শাসক দলের এই আগ্রাসন ধাক্কা খেল মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে। ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা ভোটে জয়ী হয়েও ধরে রাখতে পারছে না শাসক দল। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাব আনার ক্ষেত্রে আইনগত ত্রুটি ছিল। এ জন্য ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক শান্তনু বসুর সমালোচনাও করেছেন বিচারক।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ৩২। গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম জিতেছিল ২১টি আসনে। তৃণমূল পেয়েছিল ১০টি। এসইউসি জয়ী হয় ১টি আসনে। সিপিএমের সভাপতি হন পীযূষ বৈরাগী।

মাসখানেক আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের বিক্ষুব্ধ ৭ জন তৃণমূলে যোগ দেন। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭টিতে। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে অনাস্থা আনে তারা। ১৫ জুলাই অনাস্থার প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে সিপিএমের পক্ষে পড়েছিল ১৪টি ভোট। তৃণমূল পায় ১৬টি। এসইউসি ও আরও এক সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। তৃণমূলের পক্ষে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন পুতুল গায়েন।

Advertisement

সে সময়ে পীযূষ বৈরাগীর দাবি ছিল, আইন মেনে অনাস্থা আনা হয়নি। তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হল, তার উল্লেখ করা হয়নি প্রস্তাবে। গোটা বিষয়ে মহকুমাশাসককে দায়ী করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

পীযূষবাবুর আইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সোমবুদ্ধ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, অনাস্থার প্রস্তাব আইনসিদ্ধ ভাবে আনা হয়নি। মহকুমাশাসকের পেশ করা রিপোর্টও আইনগত নয় বলে উল্লেখ করা হয়। ওই অনাস্থায় পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মহকুমাশাসকের পাঠানো রিপোর্টে নানা আইনগত ত্রুটি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পীযূষবাবুকেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বহাল রাখা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।

পুতুলবাবুর বক্তব্য, ‘‘সমস্ত সদস্য উপস্থিত থেকে মহকুমাশাসকের সামনেই ভোটাভুটি হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র বা পদ্ধতিগত ভুল হল কী করে কে জানে।’’ এ বিষয়ে শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘এখনও রায়ের কপি হাতে পাইনি। হাতে পেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ আদালতের রায়ে তিনি সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন পীষূষবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন