নতুন প্রকল্প-শিলান্যাসে উত্তর ২৪ পরগনায় দরাজ মুখ্যমন্ত্রী

২০১৭-১৮ সালে দু’বার উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বারাসতে এসেছিলেন যাত্রা উৎসব উপলক্ষে। বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন তিনি। কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও হল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১২
Share:

উদ্বোধন: বারাসতে যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ঘোষ

বসিরহাটে মিষ্টি হাব

Advertisement

বসিরহাটের মিষ্টির সুনাম যে গোটা দেশে, গত ফেব্রুয়ারির বৈঠকে তা মমতাই জানিয়েছিলেন। প্রস্তাব ছিল, সেখানে মিষ্টি হাব তৈরির কথা ভেবে দেখা হবে। মাঝে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কিছু শোনা যায়নি। শুক্রবারের সভা থেকে মিষ্টি হাব প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মমতা। এই ঘোষণায় খুশি বসিরহাট। বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থান বাড়বে বলেই আশা।

টেক্সটাইল হাব

Advertisement

হাবড়ার বাণীপুরে টেক্সটাইল হাব হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে পোশাক তৈরির প্রচুর কারখানা রয়েছে। সম্প্রতি ওই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন।

দু’টি স্টেডিয়াম

নৈহাটি এবং ব্যারাকপুরে অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানান সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা। ব্যারাকপুরের প্রশাসনিক সভায় তার প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা। শুক্রবার বারাসতে দু’টি স্টেডিয়ামেরই উদ্বোধন করেন তিনি।

শিল্পতালুক

ব্যারাকপুরের বৈঠকে অশোকনগরের বিধায়ক ধীমান রায় মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের সুবিধার্থে কিছু করা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দেন, ক্ষুদ্র শিল্পতালুক গড়ে দেবেন। শিল্পতালুক না হলেও এ দিন মুখ্যমন্ত্রী অশোকনগর পুর এলাকায় ‘খাদি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’-এর উদ্বোধন করেন।

মৌমাছি প্রতিপালন

মধু সংগ্রহে সুন্দরবনে গিয়ে বাঘের পেটে যাওয়া কিংবা বুনো জন্তু, সাপের ছোবলে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু বিকল্প কোনও আয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ভূমিহীনদের জঙ্গলে যাওয়া ছাড়া পথ খোলা নেই। তাঁদের জন্য সরকারি সাহায্যে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে মৌমাছি প্রতিপালন এবং মধু প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দেগঙ্গায় হানি হাব

দেগঙ্গা ব্লকের বহু মানুষের পেশা মৌমাছি প্রতিপালন। কিন্তু, প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের উৎপাদিত মধু ফড়েদের হাত ঘুরে চলে যায় বহুজাতিক সংস্থার হাতে। চাষিরা পান নামমাত্র মূল্য। তাঁদের সমস্যার সমাধানে দেগঙ্গা ব্লকে হানি হাব-প্রকল্পের শিলান্যাস হল এ দিন।

নদীর জন্য

নামেই নদী, তাতে নাব্যতা নেই বহু দিন। কচুরিপানার ফাঁদে স্রোত হারিয়েছে হাবড়া, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, গাইঘাটা এবং হরিণঘাটা ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা এবং যমুনা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পলি তোলা প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পরিস্রুত জল

প্রকল্প ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকায়। প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে সৌরশক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। গাইঘাটা এবং সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকায় এ দিন তেমন প্রকল্পের উদ্বোধন হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement