Bagda

ঘরে ফিরতে নারাজ স্ত্রী, রাতে শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরে সিঁদ কেটে ঢুকলেন জামাই, তার পর...

রাতে জল খেতে উঠে স্বামীকে দেখেই চমকে যান পায়েল বিশ্বাস। ঠিক তখনই তাঁকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। পায়েল জানিয়েছেন, স্বামীকে ঠেকাতে গিয়ে তার হাতে-পায়ে অস্ত্রের আঘাত লাগে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাগদা  শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শ্বশুরবাড়িতে সিঁদ কেটে ঢুকলেন জামাই। তার পর স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আক্রান্ত মহিলা। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, আট বছর আগে গোপালনগর থানা এলাকার অম্বরপুরের বাসিন্দা গৌতম বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় বাগদা থানার কাশীপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা পায়েল বিশ্বাসের। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিয়ে স্ত্রীকে প্রায়শই মারধর করতেন গৌতম। অশান্তির জেরে মাস দুয়েক আগে বাগদার কাশীপুর মধ্যপাড়ায় বাপের বাড়িতে চলে যান পায়েল। স্ত্রীকে বাড়ি ফেরার জন্য ফোনে বেশ কয়েক বার আবেদন করেছিলেন স্বামী। কিন্তু পায়েল শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে অস্বীকার করেন।

তার পরের ঘটনা গত ৬ ফেব্রুয়ারির। অভিযোগ, সে দিন মধ্যরাতে পায়েলের বাপের বাড়ির রান্নাঘরের পিছনে সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকেন জামাই গৌতম। রাতে জল খেতে উঠে স্বামীকে দেখেই চমকে যান পায়েল। ঠিক তখনই তাঁকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করা হয়। পায়েল জানিয়েছেন, স্বামীকে ঠেকাতে গিয়ে তাঁর হাতে-পায়ে অস্ত্রের আগাত লেগেছে। পায়েলের চিৎকার শুনে পরিবারের বাকি সদস্যদের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। আর সেটা বুঝতে পেরেই শ্বশুরবাড়ির সামনে মোটরবাইক ফেলেই চম্পট দেন গৌতম।

Advertisement

গুরুতর আহত অবস্থায় পায়েলকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বাগদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির পরিবারের চার সদস্যের নাম রয়েছে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

পায়লে বলেন, ‘‘বাবার বাড়ি থেকে একাধিক বার টাকা নিয়ে স্বামীকে দিয়েছি। কিন্তু তার পরেও টাকার জন্য আমাকে মারধর করত। আমি আর সহ্য করতে পারিনি। তাই বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলাম। কিন্তু গত ৬ তারিখ রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে আমার উপরে চড়াও হয় ও। আমি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি চাই, স্বামীর শাস্তি হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন