চুরি গিয়েছে আমসত্ত্ব, সন্দেহে মার বালককে

অভিযুক্ত দোকানি ননীগোপাল সরকার পলাতক। তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ননীগোপালের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০৩
Share:

আমসত্ত্ব চুরির অপবাদ বছর তেরোর এক অনাথ বালককে মারধরের অভিযোগ উঠল এক ফল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলেটিকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বনগাঁ থানার পানচিতা বাজার এলাকার ঘটনায় জখম বালকের নাম আলম মণ্ডল। তার মাথায় চাবির গোছা দিয়ে মারা হয়েছিল। মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে।

অভিযুক্ত দোকানি ননীগোপাল সরকার পলাতক। তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ননীগোপালের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে আলমের মা-বাবা মারা যান। পানচিতায় দূরসম্পর্কের আত্মীয় জিয়ারুল মণ্ডলের বাড়িতে থাকে ছেলেটি। চাঁদা ললিতমোহন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার বেলা ১টা নাগাদ স্কুল থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল আলম।

অভিযোগ, সে সময়ে আলমকে ধরে আমসত্ত্ব চুরির অপবাদ দিয়ে চড়-থাপ্পড় মারে ননীগোপাল। তখনকার মতো আলম বাড়ি ফিরে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৪টে নাগাদ আলম আবার বাজারে গিয়েছিল। তখন ননীগোপাল তাকে ধরে ফের মারধর করে। দোকানঘরে আটকে রাখে বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা ছেলেটিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন। জ্ঞান হারায় আলম।

তার এক বন্ধুর কথায়, ‘‘আলম আমসত্ত্ব চুরি করেনি। দোকানকাকুকে সে বারবার তা বলেছিল। কিন্তু লোকটা শোনেনি। মারতেই থাকে। ওর গলাও টিপে ধরে।’’

স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। বনগাঁ থানার পুলিশ আলমের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমের মাথা-ঘাড়-পিঠ এবং পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে।

গোটা ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত। তাঁরা ননীগোপালের কঠোর শাস্তি চান। বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, পরে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে দোকান থেকে আমসত্ত্ব আদৌ চুরি হয়নি। জনরোষের ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে অভিযুক্ত। আইসি সতীনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন