প্রেমিকার ঘর থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস জড়ানো এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘরের সামনেই জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই মহিলা।
রবিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার দক্ষিণ হাবড়া পল্লিবার্তা রোড এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুখেন ধর (৫০)। বাড়ি খড়দহ এলাকায়। জখম মহিলাকে আরজিকরে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর গলায় কয়েকটি সেলাই পড়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারাল একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলা বাপের বাড়ির একটি ঘরে একাই থাকেন। তিনি দমদম এলাকায় আয়া সেন্টারে কাজ করেন। বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন। বাসিন্দা ও তাঁর আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, একাধিক পুরুষের সঙ্গে মহিলার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। মহিলার একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টার সময় মহিলার চিৎকার শুনে পাশে থাকা তাঁর বৌদি আসেন। তিনি এসে দেখেন, ওই মহিলা নিজের ঘরের বাইরে রক্তাক্ত আবস্থায় কাতরাচ্ছেন। গলা দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। তাঁর বৌদির চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসেন। খরব পেয়ে পুলিশও চলে আসে। মহিলাকে এলাকার লোকজন হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাঁকে আরজিকরে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ কর্মীরা দেখেন, মহিলার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। জানলা দিয়ে দেখা যায়, এক ব্যক্তি গলায় মহিলার ওড়না জড়িয়ে ঝুলে রয়েছেন। দরজা ভেঙে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। তাঁর গলাতেও ছুরির আঘাত ছিল। পুলিশের অনুমান, প্রেমিকাকে মেরে সুখেন নিজে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুখেনকে তাঁরা অবশ্য আগে এলাকায় দেখেননি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ কর্তাদের অনুমান, শনিবার রাতে সুখেন মহিলার বাড়িতে এসেছিলেন। সকালে কোনও কারণে তাঁদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। তারপরই সুখেন ছুরি নিয়ে ওই মহিলাকে মারার চেষ্টা করেন। নিজেও আত্মঘাতী হন।